
নাটোরের বড়াইগ্রামে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে এক নারীকে নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত শিবির নেতাসহ দুইজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে ভুক্তভোগী নারী বড়াইগ্রাম থানায় এই মামলাটি করেন।
অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার চড়ইকুল গ্রামের কাজিম উদ্দিনের ছেলে হাসানুর রহমান হাসান (৩২) এবং বড়াইগ্রাম সদর ইউনিয়ন ছাত্র শিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ হারুন খান (২১)।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরির সুবাদে হাসানুর রহমান হাসানের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হলে গত ৪ ফেব্রুয়ারি ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক দুই লাখ টাকা মোহরানায় তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা গাজীপুরে ভাড়া বাসায় সংসার করলেও পরবর্তীতে হাসান নিজ বাড়িতে চলে আসেন।
ঈদের পর স্ত্রী হিসেবে হাসানের বাড়িতে গেলে তাকে মারধর ও শ্লীলতাহানির শিকার হতে হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অভিযোগ রয়েছে, সেখান থেকে জামায়াতে ইসলামীর কয়েকজন নেতা তাকে পুনরায় হাসানের বাড়িতে ফিরিয়ে দেন।
এরপর গত শনিবার বিকেলে তাকে বাড়ির সামনে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়। ওই সময় তাকে তালাকনামায় স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয় এবং পরে গাজীপুরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। গাজীপুরে আহসান উল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তিনি বড়াইগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগের বিষয়ে হাসানুর রহমান হাসান দাবি করেছেন, ওই নারীর চরিত্রে সমস্যা রয়েছে। তিনি তাকে জোর করে বিয়ে করেছিলেন এবং এখন তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন।
বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক গোলাম সারোয়ার হোসেন জানান, ভুক্তভোগীর করা মামলার তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর