
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় শনিবার রাতে মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় মসজিদের মাইকে ‘ডাকাত’ ঘোষণা দিয়ে গ্রামবাসীকে উত্তেজিত করা হয়। হামলায় পুলিশের একটি ভ্যানগাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
রবিবার দুপুরে জনতার বাজারে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের যৌথ অভিযানে ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ৩১ মে নবীগঞ্জের জনতার বাজার পশুর হাট অপসারণকালে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার আসামিদের ধরতে শনিবার রাতে গজনাইপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গজনাইপুর গ্রামে অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে দক্ষিণ গজনাইপুর গ্রামের নজর উদ্দিনকে (৪০) গ্রেপ্তার করার পর অন্য আসামিরা মসজিদে ‘ডাকাত এসেছে’ বলে মাইকিং করে। এরপর দুই শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং নজর উদ্দিনকে ছিনিয়ে নেয়। হামলায় নবীগঞ্জ থানার তিন কনস্টেবল শাহ ইমরান (২৭), মোজাম্মেল হক (২৫) ও পল্টন চন্দ্র দাশ (২৫) আহত হন। তাদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামান জানান, জনতার বাজারের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে এবং যাচাই-বাছাই করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বানিয়াচং সেনা ক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ জানান, সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ১৩ জনকে আটক করে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এ এন এম সাজেদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে এবং দোষীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর