
বগুড়ার শাজাহানপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে রুহুল আমিন নামের এক পুলিশ কনস্টেবলকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। এ সময় উত্তেজিত জনতা তাকে মারধর করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার নিশ্চিন্তপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়।
আটক রুহুল আমিন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পুলিশী তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি শাজাহানপুর থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত এবং সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার কয়রা শরতলীর বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রুহুল আমিন এর আগে শাজাহানপুর থানার একাধিক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বডিগার্ড হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এ ঘটনায় নিশ্চিন্তপুর এলাকার বাসিন্দা অ্যাডভোকেট শাপলা খাতুন শাজাহানপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে শাপলা খাতুন উল্লেখ করেন, কিছুদিন আগে রুহুল আমিন ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তার বাবা মো. আব্দুল বাকি শাহের (৬০) বাড়িতে যান এবং তাকে আটকের চেষ্টা করেন। বাবাকে না পেয়ে তিনি ৫০০ টাকা নিয়ে যান।
শাপলা খাতুন আরও জানান, বৃহস্পতিবার সকালে রুহুল আমিন তাদের নিশ্চিন্তপুর শাহ্ পাড়া গ্রামে আসেন এবং তার ছোট ভাই মো. সাজ্জাদ হোসেন সবুজের (৩২) খোঁজ করেন। সবুজ আসার পর রুহুল আমিন তাকে জানান, তারা জানতে পেরেছেন তাদের বাড়ির কোণে কিছু অবৈধ জিনিস আছে এবং সবুজকে সেটি উদ্ধার করতে হবে।
সবুজ রুহুলের কথামতো বাড়ির দক্ষিণ পাশের কলা বাগানের কোণে গিয়ে একটি ছোট টিনের কৌটা পান। কৌটা খুললে ভেতরে ২০ রাউন্ড গুলি দেখতে পান। রুহুল আমিন ওই গুলিগুলোকে থানা থেকে খোয়া যাওয়া আখ্যা দিয়ে সবুজকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন এবং এক লাখ ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। একই সাথে সবুজকে হুমকি দিয়ে বলেন, টাকা দিলে তার সাথে থাকা সিভিল পোশাকের অন্য পুলিশ সদস্যদের ম্যানেজ করা যাবে।
সবুজ বিষয়টি তার বোন শাপলাকে জানালে তিনি ও তার স্বামী মোঃ শাহাদত আলম (৪৩) দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। তারা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে রুহুল আমিন শাপলাকে অপহরণের হুমকি দেন।
পরে স্থানীয়রা বিষয়টি জানতে পেরে রুহুল আমিনকে আটক করে মারধর করেন। এরপর ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে জানানো হলে তারা এসে রুহুল আমিনকে হেফাজতে নেয়।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, চাঁদাবাজির অভিযোগে স্থানীয়রা রুহুল আমিন নামের এক কনস্টেবলকে আটক করে মারধর করেছে। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর