কুড়িগ্রামের রৌমারী টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে বহুতল একাডেমিক ভবনের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার সকাল ১১টায় কলেজ প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি ২০১০ সালে এমপিওভুক্ত হয়। ২০২২ সালে এটি কুড়িগ্রাম জেলার শ্রেষ্ঠ কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচিত হয় এবং ২০২৩ ও ২০২৪ সালেও এই স্বীকৃতি ধরে রেখেছে। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ এসএম হুমায়ুন কবির জেলায় শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে প্রি-ভোকেশনাল (ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি), এসএসসি ভোকেশনাল (নবম-দশম শ্রেণি), এইচএসসি (বিএমটি) একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি এবং ছয় মাস মেয়াদি বেসিক ট্রেড কোর্স চালু আছে। এতে প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত।
মানববন্ধনে অধ্যক্ষ এসএম হুমায়ুন কবির বলেন, প্রতিষ্ঠার ২৪ বছর পেরিয়ে গেলেও বহুতল একাডেমিক ভবনের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ থেকে একাডেমিক ভবন নির্মাণের তালিকা চাওয়া হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে তালিকা পাঠানো হয়, যেখানে তাঁদের প্রতিষ্ঠানের নাম শীর্ষে ছিল। তা সত্ত্বেও গত ৩০ জুলাই প্রকাশিত তালিকায় প্রতিষ্ঠানটির নাম বাদ পড়ে যায়। পর্যাপ্ত অবকাঠামো না থাকায় অন্য প্রতিষ্ঠানে ভেন্যু হিসেবে পরীক্ষা নিতে হওয়ায় শিক্ষার্থীদের সমস্যা হচ্ছে। তিনি দ্রুত বহুতল ভবন নির্মাণের দাবি জানান।
দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী শায়লা অন্তু জানায়, বহুতল ভবন না থাকায় টিনশেড কক্ষে গাদাগাদি করে ক্লাস করতে হয়। গরমে ও বর্ষায় টিনের চাল ফুটো হয়ে পানি পড়ায় ক্লাস করা কঠিন হয়ে পড়ে। এছাড়া, অন্য প্রতিষ্ঠানে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হয়।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন সহকারী অধ্যাপক একরামুল হক, প্রভাষক আব্দুস শহিদ, প্রভাষক শহিদুল ইসলাম এবং শিক্ষার্থী হ্যাপী হায়দার, ময়না পারভীন, সোলায়মান আলী ও শাকিব আল হাসান।
রৌমারী টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার হালদার জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হবে, যাতে দ্রুত ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
সর্বশেষ খবর