
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে থানা হেফাজত থেকে সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিনিয়ে নিতে হামলা, ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ছিনতাই হওয়া দুই আসামি বেলাল হোসেন ও সোহেল রানা, হাতীবান্ধা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নুরুন্নবী কাজল এবং বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা-কর্মী ও সমর্থক রয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত গত বুধবার (২ জুলাই) রাতে। পাটগ্রামের মমিনপুর এলাকার বেলাল হোসেন ও মির্জারকোর্ট এলাকার সোহেল রানা নামের দুই পাথর কোয়ারি শ্রমিককে ভ্রাম্যমাণ আদালত এক মাসের কারাদণ্ড দিলে তাদের পাটগ্রাম থানায় নেওয়া হয়। অল্প সময়ের মধ্যেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সাজাপ্রাপ্তদের সহযোগীরা সংঘবদ্ধ হয়ে থানায় ঢুকে প্রথমে তর্ক ও পরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এ সময় ভাঙচুর করা হয় থানার দরজা-জানালা, ল্যাপটপ ও আসবাবপত্র এবং ছিনিয়ে নেওয়া হয় দুই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে।
এ ঘটনায় পাটগ্রাম থানায় ২৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও অনেককে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। প্রথম দফায় বিএনপি, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ৮ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তী অভিযানে বেলাল, সোহেলসহ আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লালমনিরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাদ আহমেদ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হামলার সময় পাটগ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ সহায়তা চাইলেও, থানা চত্বর ঘিরে রাখা ও রাস্তায় ব্যারিকেডের কারণে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। এ ঘটনায় হাতীবান্ধা থানায় আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবক দলের হাতীবান্ধা উপজেলা আহ্বায়ক নুরুন্নবী কাজল ও আরও দুজনকে। দলীয় সিদ্ধান্তে কাজলকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে পাটগ্রাম উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মো. জাহাঙ্গীর মোস্তাফিজ চপল এবং পাটগ্রাম পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদ হোসেনকেও বহিষ্কার করেছে সংশ্লিষ্ট সংগঠন।
লালমনিরহাট জেলা পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ভিডিও ফুটেজ ও তথ্য বিশ্লেষণ করে দ্রুত বাকি অভিযুক্তদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর