
ভাঙা, জরাজীর্ণ ও অরক্ষিত হয়ে রয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) চারপাশের সীমানা প্রাচীর। দীর্ঘদিন ধরে এমন বেহাল দশা থাকলেও বাজেটের অভাবে সংস্কার করা হচ্ছে না এসব প্রাচীর। এতে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তাঁরা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে অতি দ্রুত প্রাচীরগুলো মেরামতের দাবি জানিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শাহ আজিজুর রহমান হলের পকেট গেটের পূর্ব পাশে প্রাচীরের একটি বড় অংশ দীর্ঘদিন ধরে ধসে পড়ে আছে। এছাড়া মীর মুগ্ধ সরোবরের পাশের প্রাচীর পুরোপুরি নিচু, এবং কিছু জায়গায় একেবারেই কোনো প্রাচীর নেই।
ল্যাবরেটরি স্কুলের সামনের ও পেছনের এলাকা, প্রভোস্ট কোয়ার্টারসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রাচীরের গ্রিল ও অর্ধ-ধ্বস্ত দেয়াল ভেঙে পড়ে আছে। এতে করে হরহামেশাই বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করছে। ফলে আবাসিক হল, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কোয়ার্টারসহ বিভিন্ন এলাকায় মাঝেমধ্যে চুরির ঘটনা ঘটছে।
আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রাচীর ভাঙ্গা থাকার কারনে খুব সহজেই বহিরাগতরা প্রবেশ করতে পারে। যার ফলে মাঝেমধ্যেই ক্যাম্পাসে চুরির ঘটনা ঘটে। এছাড়াও অবাধে বহিরাগতরা চলাফেরা করে যা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। তাই প্রশাসনের প্রতি দাবি অতিদ্রুত প্রাচীর মেরামত করা হোক।
এ বিষয়ে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা জানান, আমাদের কাজ মূল গেইটে নিরাপত্তা দেওয়া। তবে প্রাচীরের ভাঙা অংশ দিয়ে কে কখন কিভাবে টুকে সেটা আমাদের সবসময় নজরে থাকে না। আমরাও চাই প্রশাসন বিষয়টি সমাধান করুক।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, শাহ আজিজুর রহমান হলের পূর্ব পাশে জলাশয় থাকার কারণে বারবার প্রাচীর ধ্বসে যায়। উপাচার্য নিজে বিষয়টি সরেজমিনে দেখেছেন। নতুন বাজেট হলে ভাঙা প্রাচীরের অংশগুলো সংস্কার করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম শরীফ উদ্দীন বলেন, আমরা প্রশাসনের কাছে সীমানা প্রাচীর মেরামতের জন্য আবেদন জানিয়েছি। পর্যাপ্ত বাজেট না থাকায় কাজ শুরু হয়নি। পরবর্তীতে প্রশাসন বাজেট দিলে মেরামতের কাজ শুরু করবো।
এ বিষয়ে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই অর্থবছর শেষ হওয়ায় প্রাচীর মেরামতের জন্য বাজেট নেই। নতুন অর্থবছরে নতুন করে বাজেট পাস হলে ধসে যাওয়া ও নিচু প্রাচীরের কাজ শুরু করবো। নতুন বছরে এটিকে মেগা প্রকল্প হিসেবে নিব।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর