ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা হামলায় আট যাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা তিনটি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৭ জুলাই) কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত এই আদেশ দেন।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট কাইমুল হক রিংকু জানান, ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুরে বাসে পেট্রলবোমা হামলায় আটজন নিহত হন। এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। চৌদ্দগ্রাম থানার তৎকালীন পুলিশ কর্মকর্তা নুরুজ্জামান হাওলাদার বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী আদালতে বলেন, ঘটনার সময় খালেদা জিয়া গুলশানের বাসায় বালুর ট্রাক দিয়ে অবরুদ্ধ ছিলেন। শুনানি শেষে বিচারক খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দেন।

অপরদিকে ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রামের হায়দারপুর এলাকায় কাভার্ড ভ্যান পোড়ানোর ঘটনায় নাশকতার অভিযোগে আরও একটি মামলা হয়। এই মামলাতেও খালেদা জিয়াসহ ৩২ জনকে আসামি করা হয়। পরে আরও ১০ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এই মামলার বাদীও ছিলেন চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই নুরুজ্জামান হাওলাদার। এই মামলাতেও বেগম খালেদা জিয়ার সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় আদালতের বিচারক তাকে অব্যাহতি দেন।

পিপি কাইমুল হক রিংকু জানান, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে—এমন বিবেচনায় এগুলো প্রত্যাহারের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছিল। মন্ত্রণালয় সেই আবেদন গ্রহণ করে মামলা তিনটি প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়। ফলে খালেদা জিয়া ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় আর কোনো মামলা নেই।

সালাউদ্দিন/সাএ