ছয় দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে লালমনিরহাটে তিন ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিএইচএএ) লালমনিরহাট জেলা শাখা আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচি পালন করে।

কর্মসূচি শেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর সিভিল সার্জনের মাধ্যমে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

সংগঠনের জেলা সভাপতি মমিনুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান, সহ-সভাপতি বিভূতিভূষণ রায়, দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, হাতিবান্ধা উপজেলা শাখার সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, আদিতমারী উপজেলার শফিকুল ইসলামসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার শতাধিক স্বাস্থ্য সহকারী এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।

স্বাস্থ্য সহকারীরা বলেন, মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার মূল যোদ্ধা হয়েও তাঁরা বছরের পর বছর ধরে অবহেলিত। পশুপাখিকে টিকা প্রদানকারীরা ১৪তম গ্রেডে থাকলেও তাঁরা ১৬তম গ্রেডে রয়েছেন, যা চরম বৈষম্যমূলক।

তাঁরা আরও বলেন, ভ্যাকসিনেশন, মা ও শিশু স্বাস্থ্য, পুষ্টি, ডেঙ্গু, কুষ্ঠ, যক্ষ্মা, কোভিড-১৯ সহ সকল স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিলেও তাঁদের চাকরি নিরাপত্তা, বেতন বৈষম্য, মর্যাদা ও স্বীকৃতি আজও অধরা রয়ে গেছে।

স্মারকলিপিতে স্বাস্থ্য সহকারীরা তাঁদের ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো:

১. মাঠ পর্যায়ে কর্মরত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত কর্মীদের পুনর্বিন্যাস ও কার্যকর পদায়ন।
২. জাতীয় পে-স্কেল অনুযায়ী উপযুক্ত বেতন কাঠামো নির্ধারণ।
৩. সময়মতো পদোন্নতি ও প্রশিক্ষণের সুযোগ প্রদান।
৪. নির্ধারিত নিয়োগবিধি বাস্তবায়ন ও বিদ্যমান শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগ।
৫. অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের (যেমন টিসিভি, এমআর ক্যাম্পেইন, বিডি হেলথ অ্যাপস) যথাযথ স্বীকৃতি।
৬. ইপিআই কার্যক্রমে স্বাস্থ্য সহকারীদের নেতৃত্ব স্বীকৃতি এবং অযথা হস্তক্ষেপ বন্ধ।

নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তাঁদের ন্যায্য দাবি দ্রুত মেনে নেওয়া না হলে সারা দেশে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে একই দাবিতে দেশের ৬৪ জেলায় একযোগে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

সালাউদ্দিন/সাএ