
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে বাগেরহাটে গত ২৪ ঘণ্টা ধরে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এতে জেলার সদর, মোরেলগঞ্জ, মোংলা, শরণখোলা, রামপালসহ ৯টি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১১০৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
টানা বর্ষণে বাগেরহাট পৌরসভা চত্বর, শহরের রাহাতের মোড়, সাধনার মোড়, নাগেরবাজার, পোস্ট অফিস মোড় ও শালতলাসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট জলমগ্ন হওয়ায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। জেলার নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে এক থেকে দুই ফুট পর্যন্ত বেড়েছে।
জলাবদ্ধতার কারণে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। রিকশাচালক, দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষেরা কাজ না পেয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। শহরের অনেক দোকানপাটে পানি প্রবেশ করায় বেচাকেনা বন্ধ রয়েছে।
পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. কালাম জানান, তার বাড়ীর চারপাশে হাঁটু পানি জমে আছে এবং রান্নাঘরেও পানি ঢুকে গেছে।
এদিকে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে সুন্দরবনের কটকা, কচিখালী, সুপতি, দুবলা, শরণখোলা ও মোংলা এলাকার খালে শত শত মাছ ধরা ট্রলার আশ্রয় নিয়েছে। মোংলা বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে। বন্দরে খাদ্যবাহীসহ ৯টি পণ্যবোঝাই জাহাজ রয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে এসব জাহাজ থেকে পণ্য খালাস কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, ঝড়ো আবহাওয়ার কারণে সাগরে মাছ ধরা সম্ভব না হওয়ায় বহু ট্রলার সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে আশ্রয় নিয়েছে।
মোংলা আবহাওয়া অফিসের প্রধান আবহাওয়াবিদ হারুন আর রশিদ জানিয়েছেন, সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্য বিরাজ করছে। এর ফলে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় মোংলা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর