
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার প্রাণিসম্পদ অফিসের উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (কৃত্রিম প্রজনন) মোঃ সারোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কৃত্রিম প্রজননের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, পশু চিকিৎসায় অতিরিক্ত ফি গ্রহণ এবং সময় মতো সেবা না দেওয়ার অভিযোগ করেছেন স্থানীয় খামারিরা।
অভিযোগে জানা যায়, সারোয়ার হোসেন জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে সিরাজগঞ্জ শহরের সয়াধানগড়া মধ্যপাড়া এলাকায় পাঁচ শতক জমির ওপর একটি চারতলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন।
সরেজমিনে সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের খামারি শাকিল আহমেদ জানান, বিনামূল্যে পশু চিকিৎসার কথা থাকলেও টাকা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, ভেটেরিনারি ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট (ভিএফএ) কর্তৃক চাঁদাবাজি এবং সরকারি ঔষধে ঝুঁকিপূর্ণ নিরাপত্তা স্টিকার লাগানোর অভিযোগও করেন তিনি।
পৌর শহরের সয়াগোবিন্দ মহল্লার খামারি সবুজ মিয়া জানান, উপসহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সারোয়ার হোসেনকে ফোন করে অনুরোধ করার পর তিনি বাড়িতে আসেন এবং ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা ভিজিট না দিলে অসন্তুষ্ট হন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক খামারি জানান, ছাগলের পিপিআর ভ্যাকসিন ও হাঁসের ডাকপ্লেগ ভ্যাকসিন নিতে গেলেও তাদের কাছ থেকে বেশি টাকা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, সরকারি বীজ ৭৫ টাকায় বিক্রি করার কথা থাকলেও তিনি প্রতিবার ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা নেন।
খামারি আরিফ হোসেন জানান, কিছুদিন আগে তার একটি ছাগল অসুস্থ হলে সারোয়ার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি পিপিআই ভ্যাকসিন চার-পাঁচ দিন পর আসবে বলে জানান এবং পরের দিন সকালে আসবেন বলে আশ্বাস দিলেও আসেননি। রাতে ছাগলটি মারা যায়, যার বাজারমূল্য ছিল ৩০ হাজার টাকা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (কৃত্রিম প্রজনন) মো. সারোয়ার হোসেন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে, বাড়ি নির্মাণের জন্য সরকারের কাছ থেকে কোনো অনুমোদন নেননি বলে স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, সরকারি চাকরি আচরণ বিধি অনুযায়ী বাড়ি নির্মাণ করতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মাধ্যমে সরকারের অনুমতি নিতে হয়, তা তার জানা ছিল না।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আলমগীর হোসেন বলেন, উপসহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (কৃত্রিম প্রজনন) মো. সারোয়ার হোসেন জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে বাড়ি নির্মাণ করেছেন কিনা, তা তার জানা নেই। এটি তার ব্যক্তিগত বিষয়।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর