
চট্টগ্রামের হালিশহরে নালায় পড়ে হুমায়রা আক্তার (৩) নামের এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে হালিশহর থানার আনন্দপুর এলাকায় একটি নালা থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, শিশু হুমায়রার বাবা আব্দুর রহমান একটি ক্যাবল সংযোগ প্রতিষ্ঠানে লাইনম্যান হিসেবে কর্মরত। তাদের বাসা আনন্দপুর মসজিদের পাশে একটি কলোনিতে।
স্থানীয় বাসিন্দা মাহমুদুর রহমান শাওন জানান, শিশুটি বিকেল ৩টার দিকে বাইরে হাঁটতে বের হয় এবং সড়কের পাশের খোলা নালায় পড়ে যায়। প্রায় ৪৫ মিনিট পর তাকে উদ্ধার করে মা ও শিশু হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের অপারেটর মো. সেলিম জানান, শিশুটি বাড়ির পাশের দোকানে যাওয়ার সময় নালার ওপরের স্ল্যাব খোলা থাকায় জমে থাকা পানিতে পড়ে যায়। নালার মুখ দৃশ্যমান না হওয়ায় শিশুটি অসাবধানতাবশত সেখানে পা রাখলে স্রোতে ভেসে যায়।
ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। পরে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম শহরে প্রায়ই খাল-নালায় পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে। এর আগে, ১৮ এপ্রিল রিকশা থেকে ছিটকে নালায় পড়ে দুই নারী ও তাদের ছয় মাস বয়সী শিশু সেহরীস নিখোঁজ হয়। পরে চাক্তাই খাল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
২০২১ সালের ২৫ আগস্ট মুরাদপুর মোড়ে সবজি বিক্রেতা সালেহ আহমেদ নালায় পড়ে নিখোঁজ হন, যার মরদেহ আজও উদ্ধার করা যায়নি। একই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর আগ্রাবাদ এলাকায় নালায় পড়ে সেহেরীন মাহবুব সাদিয়া নামের এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী মারা যান।
২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর ষোলশহর এলাকায় নালায় পড়ে নিখোঁজ শিশু কামালের মরদেহ তিন দিন পর মুরাদপুর থেকে উদ্ধার করা হয়। ২০২৩ সালের ২৭ আগস্ট আগ্রাবাদ রঙ্গীপাড়ায় ১৮ মাসের শিশু ইয়াছিন আরাফাতের মরদেহ ১৭ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়। এসব ঘটনা নগরীর নালাগুলোর নিরাপত্তা ত্রুটিগুলো আবারও সামনে নিয়ে এসেছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর