
বগুড়ার শেরপুর পৌর শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের টাউন কলোনি এলাকায় জমি রেজিস্ট্রি নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। জমির অগ্রিম বায়না নেওয়ার পরও দীর্ঘ দিন ধরে তালবাহানা করার অভিযোগে শিল্পী বেগম (৫৫) নামের এক নারীর বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আব্দুল লতিফ (৫৫) নামের এক ব্যক্তি। আব্দুল লতিফ টাউন কলোনি এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে।
অভিযোগে আব্দুল লতিফ জানান, তিনি শিল্পী বেগমের কাছ থেকে ১৩২ শতক জমি ২৮ লাখ টাকায় কেনার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। জমি কেনার জন্য শিল্পী বেগম তার কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা অগ্রিম বায়না হিসেবে গ্রহণ করেন। চুক্তিপত্রে উল্লেখ ছিল, বাকি ২৫ লাখ টাকা নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে পরিশোধ না করলে বায়না বাতিল বলে গণ্য হবে এবং অগ্রিম টাকা ফেরত দেওয়া হবে না।
আব্দুল লতিফের অভিযোগ, তিনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পুরো টাকা সংগ্রহ করে জমির দলিল রেজিস্ট্রি করার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। কিন্তু শিল্পী বেগম নানা অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। গত ১০ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি বিষয়টি পুনরায় জানাতে গেলে শিল্পী বেগম তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং জমি রেজিস্ট্রি করতে অস্বীকার করেন।
কায়কোবাদ (৫২) ও আব্দুল হামিদ (৬২) সহ আরও কয়েকজন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে শিল্পী বেগম জানান, তিনি জমি দেবেন। অথবা টাকা ফেরত দেবেন। তবে কেন তার নামে অভিযোগ করা হয়েছে, তা তিনি জানেন না।
আব্দুল লতিফ ন্যায়বিচারের আশায় থানায় এসেছেন এবং পুলিশ দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মইনুদ্দিন জানান, অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর