
ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির পরশুরাম ও ফুলগাজীতে কিছুটা উন্নতি হলেও ছাগলনাইয়া ও ফেনী সদর উপজেলায় নতুন করে অবনতি হয়েছে। পাহাড়ি ঢলের পানিতে কাজীরবাগ, মোটবী ও ফাজিলপুরসহ নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।
শুক্রবার (১১ জুলাই) পানি কিছুটা কমলেও পরশুরামে বসতঘর ও সড়ক ধসের ক্ষয়ক্ষতি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ধনীকুন্ডা এলাকায় জমে থাকা বালু স্থানীয়দের জন্য নতুন দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দাগনভূঞা ও সোনাগাজীর নিম্নাঞ্চলে তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতেও সংকট চলছে। অনেক আশ্রিত মানুষ পর্যাপ্ত খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধ পাচ্ছেন না। নারী ও শিশুরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
ফেনী আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টির হার কমলেও ঢলের পানির গতি এখনও প্রবল।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া ও সদর উপজেলার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে আছেন প্রায় দেড় লাখ মানুষ। দুর্গত এলাকার অনেক স্থানে বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখা হয়েছে।
ফেনীর ফুলগাজি ও পরশুরামের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খাবার, ওষুধ ও টয়লেটের সংকট দেখা দিয়েছে।
ফুলগাজী উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফাহরিয়া ইসলাম জানান, আশ্রয়কেন্দ্রে আসা মানুষদের মধ্যে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। আর যারা দূরে অবস্থান করছেন, তাদের কাছে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবকরা।
সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যৌথভাবে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। বিতরণ করা হচ্ছে শুকনো খাবার, ওষুধ ও জরুরি সহায়তা।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর