
টানা ভারী বর্ষণে বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে জেলার বিভিন্ন উপজেলার ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিস্তীর্ণ ফসলি জমি ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। মৎস্য চাষের জন্য খ্যাত এই অঞ্চলে ৯ শতাধিক মৎস্য ঘের তলিয়ে যাওয়ায় প্রায় অর্ধকোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। এতে চাষিরা মারাত্মক ক্ষতির শিকার হয়েছেন।
মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গলদা চিংড়ি উৎপাদন এলাকা মোংলা, রামপাল, বাগেরহাট সদর ও মোরেলগঞ্জ। এছাড়া ফকিরহাট, চিতলমারী ও মোল্লাহাট উপজেলার চাষিদেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
ফকিরহাট উপজেলার ফলতিতা এলাকার সবুজ রায় জানান, বৃষ্টির পানিতে তার ঘের ডুবে একাকার হয়ে গেছে। তিনি নেট ও কচুরিপানা দিয়ে মাছ ভেসে যাওয়া ঠেকানোর চেষ্টা করছেন।
চিতলমারীর সালাম নামের এক চাষী জানান, তার ৩টি ঘেরের প্রায় ১০ লক্ষ টাকার মাছ ভেসে গেছে। ঘেরের পাড়ের সবজি গাছও নষ্ট হয়ে গেছে।
স্থানীয় মৎস্যচাষিরা জানান, আকস্মিকভাবে পানি বাড়ায় ঘেরগুলো ডুবে যায় এবং মাছ বের করার কোনো সুযোগ পাওয়া যায়নি।
মোরেলগঞ্জ উপজেলার চাষি রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি ৭ বিঘা জমিতে রুই, কাতলা, পাঙাস ও তেলাপিয়া মাছের চাষ করেছিলেন। কয়েক দিনের মধ্যে মাছ বিক্রির কথা ছিল, কিন্তু হঠাৎ বন্যায় তার প্রায় ৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, অতিবৃষ্টির কারণে ৯০০টির বেশি ঘের তলিয়ে গেছে। এতে প্রায় ৪৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর