
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ক্যামব্রিয়ান স্কুলে অতর্কিত হামলায় দুইজন শিক্ষক ও একজন ছাত্রীসহ অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা স্কুলে ভাঙচুর চালায় এবং শিক্ষকদের মারধর করে একটি কক্ষে আটকে রাখে বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্কুল পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি ফরিদ আহমদ (প্রকাশ আদা ফরিদ) ও স্কুলের সাবেক সহকারী শিক্ষিকা কামরুন নাহার জিনুর নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়। অভিযোগ রয়েছে, তারা দীর্ঘদিন স্কুলটি নিয়ন্ত্রণ করলেও সরকার পরিবর্তনের পর নতুন এডহক কমিটি দায়িত্ব নিলে তারা স্কুল ত্যাগ করেন। নতুন কমিটিতে এডভোকেট সাদ্দাম হোসেন নিশান সভাপতি এবং সহকারী শিক্ষক মো. ইউনুচ শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পান।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, ক্ষমতা হারানোর পর ওই গোষ্ঠী পুনরায় সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং 'প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির অপসারণ' দাবিতে বহিরাগত লোকজন এনে স্কুলে হামলা চালায়।
হামলার সময় শিক্ষার্থীদের রাস্তায় নামতে বাধ্য করা হয় এবং অনেকে নামতে না চাইলে তাদের মারধর করা হয়। দশম শ্রেণির ছাত্রী জন্নাতুল মাওয়া সাথী, শিক্ষক নুরুল ইসলাম বাবু ও শিক্ষক প্রতিনিধি মো. ইউনুচ গুরুতর আহত হয়েছেন। মো. ইউনুচকে পিটিয়ে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয় বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম বলেন, স্কুলে কোনো বিরোধ থাকলে আলোচনা করে সমাধান করা যেত। শিক্ষক-ছাত্রীদের উপর হামলার ঘটনা দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি এডভোকেট সাদ্দাম হোসেন নিশান জানান, আওয়ামী লীগপন্থি একটি গোষ্ঠী স্কুলে ভাঙচুর চালিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করেছে। তারা এই ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
স্থানীয়দের দাবি, হামলায় আদা ফরিদ, সালাহ উদ্দিন, যুবলীগ নেতা মো. সেলিম, ছাত্রলীগ নেতা শাকিল, কৃষক লীগ নেতা আবু তালেবসহ ১৫-২০ জন অংশ নেন। তারা সাবেক এমপি জাফরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
চকরিয়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম জানান, তারা ঘটনার বিষয়ে কিছু শিক্ষার্থীর মানববন্ধন করার কথা শুনেছেন। তবে শিক্ষককে মারধরের ব্যাপারে এখনো লিখিত অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুর রহমান জানান, ঘটনার তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর