
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আতাউর রহমান (৩৮) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পাঁচবিবি থানায় দায়ের করা মামলার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাগজানা ইউনিয়নের পশ্চিম রামচন্দ্রপুর গ্রামের মফিল উদ্দিনের ছেলে আতাউর রহমান দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। মাদক ব্যবসার মাধ্যমে তিনি বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, মাদক ব্যবসা, সেবন, নারী ধর্ষণ ইত্যাদি তার নিত্যদিনের সঙ্গী।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে, আতাউর মাদক ব্যবসার সূত্রে প্রতিবেশী কুটাহারা গ্রামের মোফাজ্জলের ছেলে নয়নের সাথে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করেন। নয়নের বাড়িতে আতাউরের নিয়মিত যাতায়াত ছিল। একপর্যায়ে নয়নের বাড়ির সামনের এক কিশোরীর প্রতি আতাউরের কুদৃষ্টি পড়ে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, আতাউর রহমানের পরিকল্পনা অনুযায়ী নয়নের স্ত্রী সালমা বেগম ওই কিশোরীকে তাদের বাড়িতে ডেকে আনে। সেখানে মুড়ি মাখার সাথে চেতনানাশক মিশিয়ে কিশোরীকে খাওয়ানো হয়। এরপর আতাউর তাকে ধর্ষণ করে এবং ঘটনার ভিডিও ধারণ করে রাখে। এই ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে গত দুই মাসে কয়েকবার ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
সর্বশেষ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সালমা বেগম কিশোরীকে ডেকে নিয়ে ঘরের মধ্যে আটকে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেন। এই সুযোগে আতাউর ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। কিশোরীর চিৎকারে তার বড় বোন এগিয়ে এলে আতাউর পালিয়ে যায়।
পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মইনুল হোসেন জানান, এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ অভিযুক্ত সালমা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে এবং পলাতক আতাউর রহমানকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে। ওসি আরও জানান, আতাউরের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর