
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি (এমটিবি) ফাউন্ডেশন এবং ইউসেপ বাংলাদেশ যৌথভাবে ময়মনসিংহে “এমটিবি-ইউসেপ স্কিলস ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (মুষ্টি)” নামে একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে গত ০৯ জুলাই দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের অধীনে ২০২৫ সালের জুলাই থেকে ২০২৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রায় ১,২০০ জন সুবিধাবঞ্চিত যুবক-যুবতীকে (১৭-৩৫ বছর) আধুনিক ও চাহিদাভিত্তিক কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। অংশগ্রহণকারীরা ছয় মাসে ৭২০ ঘণ্টা মেয়াদে পাঁচটি ট্রেডে প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ পাবেন। ট্রেডগুলো হলো: ইলেকট্রিক্যাল ইন্সটলেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স, টেইলারিং অ্যান্ড ড্রেস মেকিং, বিউটিফিকেশন, বেকারি অ্যান্ড পেস্ট্রি প্রোডাকশন এবং গ্রাফিক ডিজাইন।
এমটিবি ফাউন্ডেশন ও ইউসেপ-এর এই যৌথ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো সুবিধাবঞ্চিত যুব ও নারীদের জন্য আয়ের সুযোগ বৃদ্ধি, দক্ষতা উন্নয়ন এবং টেকসই জীবিকার ব্যবস্থা করা, যা সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
এমটিবি ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমটিবি বোর্ড অব ডিরেক্টরস-এর চেয়ারম্যান রাশেদ চৌধুরী, এমটিবি বোর্ডের পরিচালক ও এমটিবি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মিসেস খাজা নার্গিস হোসেন, এমটিবির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান এবং এমটিবি ফাউন্ডেশনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মিসেস সামিয়া চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ইউসেপ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বোর্ড অব গভর্নরস-এর ভাইস-চেয়ারপারসন মিসেস উজমা চৌধুরী, সিপিএ; সাবেক চেয়ারপারসন ড. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন; সাবেক চেয়ারপারসন জনাব এ. মাতিন চৌধুরী এবং নির্বাহী পরিচালক ড. মো. আবদুল করিম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। উভয় প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র কর্মকর্তারাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের চাহিদা পূরণে যুবসমাজকে শিল্প-মানসম্পন্ন কারিগরি দক্ষতায় দক্ষ করে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তারা বলেন, পরিবর্তিত শ্রমবাজারের চাহিদা মেটাতে যুবসমাজকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন টেকনিক্যাল এবং ভোকেশনাল দক্ষতা প্রদান করা জরুরি। ইউরেশিয়া অঞ্চলে বাংলাদেশের যুবসমাজের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করা হয়।
মুষ্টি প্রকল্পের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জাতীয় টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক (এনটিভিকিউএফ)-এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে এবং জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ) কর্তৃক স্বীকৃত সনদ অর্জনের সুযোগ থাকবে। এছাড়াও, প্রকল্পের অংশ হিসেবে একটি চাকরি সংস্থান কর্মসূচি থাকবে, যা শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে তোলার পাশাপাশি অর্থনীতিতে পুনঃঅন্তর্ভুক্তিতে সহায়তা করবে।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে ময়মনসিংহ অঞ্চলে দক্ষতা বৃদ্ধি, আয় বাড়ানো এবং টেকসই জীবিকার সুযোগ তৈরি হবে, যা সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নে এবং তাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে অবদান রাখবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর