
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে সগির (২৫) নামের এক যুবককে হত্যা করে মরদেহ রাস্তায় ফেলে রেখেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত সগির শুভাঢ্যা উত্তরপাড়া এলাকার আমির হোসেনের ছেলে। তিনি রাজধানীর ইসলামপুর এলাকায় একটি কাপড়ের দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন।
শনিবার সকাল সাড়ে নয়টায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন শুভাঢ্যা ইউনিয়নের চুনকুটিয়া নাজিরেরবাগ এলাকায় সুধার বাড়ির সামনের রাস্তার উপর লাশটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত মরদেহটি রাস্তায় পড়েছিল। মরদেহ দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় পড়ে থাকায় উৎসুক জনতার ভিড় বাড়তে থাকে।
এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিহত সগির ৮ বছর আগে বিয়ে করেছিলেন এবং তাঁদের ৬ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। দুই বছর আগে স্ত্রীর পরকীয়ার কারণে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এর কিছুদিন পর আবার স্ত্রীর সাথে বনিবনা হওয়ায় পুনরায় ঘর-সংসার শুরু করলে, এলাকাবাসীর কটুক্তির মুখে তিনি নিজ বাড়ি ছেড়ে নাজিরেরবাগ এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন। বর্তমানে সগিরের স্ত্রীর পরকীয়ার সম্পর্ক আবার নতুন করে শুরু হওয়ায় তাঁদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়াঝাঁটি হত। পরিবারের ধারণা, স্ত্রী ও পরকীয়া প্রেমিক দুজনে মিলে পরিকল্পিতভাবে সগিরকে হত্যা করেছে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আখতার হোসেন হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এই ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
সর্বশেষ খবর