
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আশুগঞ্জ উপজেলা সমন্বয় কমিটিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতাকে অন্তর্ভুক্ত করায় এলাকায় আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।
শনিবার এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ২৫ সদস্যের উপজেলা সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কমিটিতে আমিনুল ইসলামকে প্রধান সমন্বয়কারী ও জয়ন্তী বিশ্বাস, আনিসুল ইসলাম, সুমন মৃধা, মোস্তফা হাবিব এবং সুফিয়ান আজাদকে যুগ্ম সমন্বয়কারীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সাইফুল ইসলাম, আনিসুল হক, রমজান মিয়া, এরফান সিদ্দিকী, নবি হোসেন, আবুল কালাম, রায়হান মিয়া, জিলানীসহ ১৯ জনকে সদস্য করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই কমিটি আগামী তিন মাস অথবা আহ্বায়ক কমিটি গঠন না হওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে।
কমিটির সদস্য নবি হোসেন শরীফপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য ছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় রাজনৈতিক মহল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়। কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, নবি হোসেন ছাত্রআন্দোলন বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।
নবি হোসেন বলেন, তিনি আওয়ামী লীগের ওই পদ গ্রহণ করেননি। নির্বাচনের সময় এক আত্মীয় তার নাম কমিটিতে দিয়েছিলেন। তবে, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রায় যোগদানের বিষয়ে তিনি বলেন, ব্যবসা ও এলাকার কারণে শোভাযাত্রায় অংশ নিতে হয়েছে।
এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী আমিনুল ইসলাম বলেন, নবি হোসেন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন, তবে জুলাই মাসের আন্দোলনে তিনি তাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন। তাই তাকে কমিটিতে নেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, নবি হোসেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক—এমন তথ্য সঠিক নয়।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর