
রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের হলুদবাড়ীয়া আল রাফিয়া স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার অস্তিত্ব না থাকলেও, সেখানে শিক্ষক নিয়োগের নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মাছপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও পাংশা উপজেলা বিএনপির (বর্তমান সভাপতি) শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ এবং মাছপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তারা ২০১৪ সালের আগে ব্যাকডেটে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
হলুদবাড়ীয়া গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে তথ্য চেয়ে পাঠানো হলে শিক্ষা অফিস থেকে দুইবার জানানো হয় যে, হলুদবাড়ীয়া আল রাফিয়া স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা নামের কোনো প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব নেই।
অভিযোগ রয়েছে, ইতিমধ্যে অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে চারজন শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- তারা বিবি, বুলবুলি, বশির উদ্দিন এবং মফিজের স্ত্রী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে কোনো অবকাঠামো নেই, এমনকি কোনো সাইনবোর্ডও নেই। স্থানীয়রা জানান, সেখানে কখনো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল না। সেখানে ফসলি জমি ও জলাবন্ধতা রয়েছে। ভূমি অফিস থেকে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির নামে ৩৩ শতাংশ জমি থাকার বাধ্যবাধকতা থাকলেও সেখানে মাত্র ৮ শতাংশ জমি রয়েছে।
এলাকাবাসী আকবর আলী মন্ডল জানান, শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ, আবুল কালাম আজাদ এবং মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক রজব আলী মোল্লা মিলে শিক্ষক নিয়োগের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শুক্রবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন সহকারী পরিচালক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে এসে স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়েন এবং কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ভালো প্রতিবেদন দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চাকরিপ্রার্থীর ভাই জানান, মাছপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ তাদের কাছে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ৩ লক্ষ টাকা করে চেয়েছেন এবং অফিসে খরচের কথা আলাদাভাবে বলেছেন।
হলুদবাড়ীয়া আল রাফিয়া স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক রজব আলী মোল্লা জানান, তিনি ১৯৯৩ সাল থেকে এমপিওভুক্ত। তবে প্রতিষ্ঠানে কতজন শিক্ষক আছেন, জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দেননি।
পাংশা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ জানান, হলুদবাড়ীয়া আল রাফিয়া স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার অস্তিত্ব নেই মর্মে তারা দুইবার প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর