
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় সাত বছর বয়সী শিশু হাজেরা খাতুনকে হত্যার অভিযোগে সৎ মা রুবি আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে উপজেলার মুগবেলাই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর রুবি আক্তার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে, রবিবার রাত ১০টার দিকে নিজ ঘর থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত রুবি আক্তার (৩০) উপজেলার কুটিরচর গ্রামের হারুনর রশিদের স্ত্রী। নিহত হাজেরা খাতুন (৭) হারুনর রশিদের প্রথম স্ত্রীর মেয়ে।
সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশের ওসি একরামুল হোসাইন জানান, প্রায় সাত বছর আগে শিশু হাজেরার মা স্বামী-সন্তান রেখে অন্যত্র পালিয়ে যান। এরপর হারুনর রশিদ রুবি আক্তারকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। শিশুটির বাবা কর্মের কারণে বাড়িতে থাকতেন না। এই সুযোগে রুবি শুরু থেকেই হাজেরাকে মারধর ও নির্যাতন করত। রবিবার দুপুরে রুবি হাজেরাকে হত্যার পর বস্তাবন্দি করে বালতির ভেতর তুলে খাটের নিচে রেখে পালিয়ে যায়। তবে পালানোর সময় নিজের দুই জমজ সন্তানকে সে বাড়িতেই রেখে যায়।
অনেক খোঁজাখুঁজির পর সন্ধ্যায় স্বজনরা ঘরের মধ্যে শিশু হাজেরার মরদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর অভিযুক্ত রুবিকে ধরতে ডিবি পুলিশের একটি দল অভিযান চালায় এবং তাকে গ্রেপ্তার করে।
সোমবার বিকেলে রুবিকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার শরিফ বাপ্পি জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় নিহত শিশুটির বাবা হারুনর রশিদ বাদী হয়ে কামারখন্দ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর