
খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়িতে রাণী নীহার দেবী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের বিদ্যালয়ের দেয়ালে গ্রাফিতি এঁকেছেন। গ্রাফিতিগুলোতে জুলাই মাসে সংঘটিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়ে শনিবার বিকেলে এই গ্রাফিতি অংকনের কাজ শেষ হয়। শিক্ষার্থীরা রং-তুলির আঁচড়ে আন্দোলনের সময়ের বিভিন্ন দৃশ্য, স্লোগান ও প্রতিবাদের ভাষা ফুটিয়ে তোলেন।
সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী উহ্লামং মারমা ও রিজওয়ানা করিম রিচি, নবম শ্রেণির সাফায়াত শাফিন, সাদিকুন নাহার পাপিয়া, চিহ্লাঅং মারমা এবং দশম শ্রেণির তানজিলা ইসলাম তানহা, রত্না চাকমা, উইনু মারমা, সুইক্রা মারমা শ্যামলী ও তাথৈ পাল এই গ্রাফিতি অংকনে অংশ নেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গ্রাফিতি অংকনের যাবতীয় খরচ বহন করে।
শিক্ষার্থীরা জানান, জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের বিভিন্ন ঘটনা তারা গ্রাফিতির মাধ্যমে তুলে ধরতে চেয়েছেন। এটি তাদের বিদ্যালয়ে প্রথম উদ্যোগ। তারা এই কাজে সহযোগিতা করার জন্য প্রধান শিক্ষক এবং অন্যান্য শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, গ্রাফিতি অংকন করতে গিয়ে তারা কোনো বিরক্তি বোধ করেননি, বরং কাজটি তারা বেশ উপভোগ করেছেন। নিজেদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দেয়ালে এমন চিত্র আঁকতে পেরে তারা গর্বিত।
প্রধান শিক্ষক মো. আতাউল্লাহ এই গ্রাফিতি অংকনে সার্বিক দিকনির্দেশনা দেন। সহকারী শিক্ষক মো. সামির হোসেন, শ্যামা চরণ রুদ্র ও মংহ্লা মারমা এতে সহযোগিতা করেন।
শিক্ষার্থীরা তাদের রং-তুলির আঁচড়ে জুলাই আন্দোলনের রক্তাক্ত দৃশ্য, বিভিন্ন ধর্ম ও বর্ণের মানুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করার এবং পার্বত্য অঞ্চলের সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরির চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন।
তাদের চাওয়া, একটি ন্যায় ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ, যেখানে কেউ স্বৈরাচারী হওয়ার সাহস না পায়।
প্রধান শিক্ষক মো. আতাউল্লাহ বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকারি নির্দেশনার আলোকে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ ছিল।
বিদ্যালয়ের দেয়ালে আঁকা এই গ্রাফিতি দেখতে অনেকেই ভিড় করছেন এবং শিক্ষার্থীদের এই শিল্পকর্মের প্রশংসা করছেন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর