গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত রমজান কাজী, ইমন তালুকদার ও সোহেল রানার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২১ জুলাই) সকালে নিহতদের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা মরদেহ উত্তোলনের আবেদন করলে আদালত এই আদেশ দেন।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মো. সাজেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, "নিহতদের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা আদালতে সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উত্তোলনের আবেদন করেন। পরে আদালত একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নিহত রমজান কাজী, ইমন তালুকদার ও সোহেল রানার মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেন। আমরা গোপালগঞ্জ পৌর কবরস্থানে গিয়ে প্রথমে নিহত রমজানের মরদেহ উত্তোলন করব।"

এর আগে, শনিবার রাতে গোপালগঞ্জ সদর থানার চারজন উপপরিদর্শক (এসআই) বাদী হয়ে থানায় চারটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে তিনটি মামলায় ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে এবং অপর একটি মামলায় আসামি করা হয়েছে ৮০০ থেকে ৯০০ জনকে।