
রাজধানী উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় তৃতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী সায়মা আক্তারের গ্রামের বাড়ি গাজীপুরে চলছে শোকের মাতম। অধিক শোকে পাথরের মতো স্থির হয়ে ক্ষীণস্বরে কাতরাচ্ছে মা রিনা বেগম৷
নিহত শিশু শিক্ষার্থী হলো, গাজীপুরের সিটি কর্পোরেশনের বির্প্লবর্তা গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে সায়মা আক্তার (৯)।
তার একমাত্র বড়ভাই সাব্বির হোসেন এবার মাইলস্টোন স্কুল থেকেই এসএসসি পাশ করেছে। নিহত সায়মার করব খোঁড়া হয়েছে বাড়ির আঙিনাতেই। মঙ্গলবার (২২জুলাই) সকাল ১১ টায় জানাজা নামাজ শেষে মরদেহ রাখা হয়েছে বাড়ির উঠোনে। বড় ভাই সাব্বিরের বোন হারানোর আর্তনাতে ভারী হয়ে উঠেছে আশপাশের পরিবেশ। বাবা দূর কবরস্থানের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। শোকে কাতর মায়ের পাশে গ্রামের মহিলারা বসে রয়েছে। সবার চোখের চোখের পানিতে পরিবেশটা ভারী হয়ে উঠেছে।
নিহতের বাবা শাহ আলম জানান, আমার বন্ধু ফোন করে জানায় স্কুলে বিমান বির্ধস্থ হয়েছে। এরপর আমরা সারারাত খোজাখুজি করেও পাইনি৷ রাত ৮ টার পর জানতে পারি সিএমএসে মরদেহ রয়েছে। পরে আমার সন্তান নিয়ে লাশ নিয়ে এসেছে। গতরাতেও মেয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়েছিল। কতবার চুমো দিয়েছে রাতে তার হিসাব নেই। এরপর আর মায়ের সঙ্গে কথা হয়নি। আমার মা আর আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাবে না। এই কষ্ট কিভাবে সইবো।
সায়মার মা রিনা বেগম বলেন, ছোট্ট সায়েমার স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে ডাক্তার হবে, মানুষের সেবা করবে।কিন্তু এক বিভীষিকাময় দূর্ঘটনায় থেমে গেলো সেই স্বপ্নপথ। প্রতিদিন আমার মেয়েকে নিয়ে স্কুলে যেতাম৷ গতকাল আমার এক ভাই স্কুলে নিয়ে যায়৷ পরে ফেসবুকে জানতে স্কুলে বিমান দুর্ঘটনা হয়েছে। আমার মা স্কুলে যাওয়ার আগে বলে গেলো, মা স্কুলে গেলাম টা টা। এরপর আর মার সঙ্গে কথা হয়নি৷
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর