
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার ঘটনায় নওগা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শাহীন বাবু থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায়
১০৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ১২০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়।
এই মামলাটি নিয়ে প্রথম থেকে বির্তকের শুরু হয়েছে। মামলার (৫৫) নম্বর আসামি করা হয়েছে মৃত রোকন ফারুকীকে (৩৫)। এই বিতর্ক কাটতে না কাটতেই এবার অভিযোগ উঠেছে মামলায় ১০৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০ জন উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক।
তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি করেন মামলা বাদী শাহীন বাবু। চাঁদা না দেওয়াতে তাদের বিড়ম্বনায় ফেলার জন্য এই নাম দেওয়া হয়েছে।
মামলায় ১০ জন শিক্ষকরা হলো:- এম মুনসুর আলী ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান, তাড়াশ ডিগ্রী কলেজের অক্ষধ্য মনিরুজ্জামান, কাউরাইল ইসহাক-তফের আলী টেকনিক্যাল কলেজ অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান, তাড়াশ ইসলামিয়া মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম বি,এস,সি,তাড়াশ ডিগ্রি কলেজ প্রভাষক আবু হাসেম খোকন, মঙ্গলবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদিউজ্জামাল নান্নু,
কাউরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক
মোঃ আইয়ূবুর রহমান, ধুলিশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েরর প্রধান শিক্ষক সিরাজুল হক প্রধান, মাটিয়ামালিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক মোঃ আনিছ, করতকান্দী উচ্চ বিদ্যালয়েরর সহকারী শিক্ষক জাহিদ বি,এস,সি ।
শিক্ষকদের অভিযোগ শাহীন বাবু কে চাঁদা না দেওয়ায় তাদের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মামলার বাদী শাহীন বাবুকে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেন নি।
তবে সিরাজগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়েস জানিয়েছেন যদি কোন সাধারণ মানুষ হয়রানি করার জন্য মামলায় নাম দিয়ে থাকে যদি সেটা প্রমানিত হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার ঘটনায় মো শাহিন বাবু
বাদী হয়ে শনিবার (১৯ জুলাই ) তাড়াশ থানায় মামলাটি করেন। মামলায় বলা হয়েছে, ৪ আগস্ট দুপুর অনুমান ১২টার দিকে উপজেলার খালকুলা এলাকায় ’ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সময় শাহিন বাবু এই হামলার শিকার হন। মামলায় ১০৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ১২০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর