
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. নাজিম হোসেনকে বিয়ের ফাঁদে ফেলে প্রতারণা ও অর্থ দাবির অভিযোগ তুলেছেন একটি চক্রের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী নাজিম।
তিনি জানান, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি পারিবারিকভাবে রত্না বেগম (১৯)-কে বিয়ে করেন। তবে বিয়ের মাত্র পাঁচ মাস পর জানতে পারেন, স্ত্রীর সঙ্গে অন্য এক যুবকের ছয় বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি জানার পর দুই পরিবারের সমঝোতার ভিত্তিতে তিনি রত্নাকে তালাক দেন।
তালাকের ২৭ দিন পর নাজিমের বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা দায়ের করেন রত্নার পরিবার। নাজিমের দাবি, তাকে মামলা তুলে নেওয়ার শর্তে রত্নাকে পুনরায় গ্রহণের জন্য চাপ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি আদালতে প্রয়োজনীয় প্রমাণ উপস্থাপন করলে আদালত তাকে নিঃশর্ত জামিন প্রদান করেন।
নাজিম বলেন, “এরপর থেকে একটি সংঘবদ্ধ চক্র আমাকে সাংবাদিক পরিচয়ে মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশের হুমকি দিতে থাকে এবং মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। এমনকি বিয়ের ঘটক ও দূরসম্পর্কের মামা পরিচয় দেওয়া জসিম ওরফে মো. খালেদ বিন রহমান চক্রের সদস্যদের দিয়ে আমাকে হুমকি দেন এবং ৫-৭ লাখ টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মীমাংসার প্রস্তাব দেন।”
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত জসিম ওরফে মো. খালেদ বিন রহমান সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। নাজিম ও তার পরিবার মেয়েটিকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করত। আমি এর প্রতিবাদ করায় তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।”
তিনি আরও দাবি করেন, “অভিযোগকারী নাজিম উদ্দীনের আপন মামা হওয়া স্বত্বেও তারা দূরসম্পর্কের মামা পরিচয় দিয়ে মিথ্যাচার করছে। তারা মেয়েটিকে মারধর করত। তিনি এর প্রতিবাদ করায় তারা তার নামে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে।”
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর