
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় গত পাঁচদিনে একের পর এক চুরির ঘটনায় সাধারণ মানুষের মাঝে তীব্র আতঙ্ক বিরাজ করছে। বাসাবাড়ি, মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে ট্রাকসহ মূল্যবান মালামাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় জনমনে চরম আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই শনিবার থেকে ২৪ জুলাই বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ছয়দিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মোট সাতটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ সুঘাট ইউনিয়নের চকনশি গ্রামে মানিকের বাড়িতে জানালার গ্রিল কেটে গহনা ও নগদ টাকা চুরি হয়েছে। ২৩ জুলাই কুসুম্বি ইউনিয়নের দাড়কিপাড়া গ্রামে হযরত আলীর বাড়ির তালা ভেঙে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকার মালামাল চুরি হয়। চুরি হওয়া মালামালের মধ্যে স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা ও মূল্যবান ইলেকট্রনিক সামগ্রী রয়েছে। একইদিনে শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ফজলুল মোড় এলাকার রোকনের বাড়িতে একই কায়দায় প্রায় ৫০ হাজার টাকা ও ১ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি হয়ে যায়। এর আগের দিন মঙ্গলবার, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বর থেকে নওদাপাড়া এলাকার হাসানের একটি ১৫০ সিসি পালসার মোটরসাইকেল চুরি হয়। একইদিনে বাগানবাড়ী এলাকার আল মামুনের বাড়ি থেকে দুটি মোবাইল এবং পরদিন বুধবার খন্দকারপাড়ার সুমাইয়ার মোবাইল ফোন চুরি হয়। এছাড়া ১৯ জুলাই শনিবার সন্ধ্যায় ধুনটমোড় এলাকা থেকে একটি ট্রাকসহ মাছের খাদ্য চুরি হলেও পরে ট্রাক ও মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
এতসব চুরির ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেবল একজনকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে পুলিশ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাতে পুলিশের টহল কার্যত অপ্রতুল, যা অপরাধ বাড়ার একটি বড় কারণ। এ সকল চুরির ঘটনায় শেরপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এগুলো ছাড়াও আরও অনেক চুরির ঘটনা ঘটেছে যা অভিযোগ হয়নি বলে দাবি করেন ধুনটমোড় এলাকার কামরুল হাসানসহ জুয়েল রানা, হুমায়ুন, রাশেদুল। এলাকাবাসী আবুল হোসেন, সামাদ, ডলার বলেন, শেরপুরে চোরের উৎপাত এতটাই বেড়েছে যে বাড়ি তালা দিয়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে পর্যন্ত বেড়াতে যাওয়া যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মঈনুদ্দিন জানান, প্রতিটি অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চুরি প্রতিরোধে রাতের টহল জোরদার করা হয়েছে। সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর