
সংঘাতের পর কম্বোডিয়া সীমান্তবর্তী ৮ জেলায় সামরিক আইন জারি করেছে থাইল্যান্ড। আজ শুক্রবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, টানা দ্বিতীয় দিন দুই দেশের মধ্যে প্রাণঘাতী সংঘর্ষ চলায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
থাই সেনাবাহিনীর বর্ডার ডিফেন্স কমান্ডের কমান্ডার অ্যাপিচার্ট সাপ্রাসের্ট এক বিবৃতিতে জানান, চান্থাবুরি প্রদেশের সাতটি এবং ট্রাট প্রদেশের একটি জেলায় এখন সামরিক আইন কার্যকর রয়েছে।
এদিকে শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের পাল্টাপাল্টি হামলায় উত্তপ্ত থাই-কম্বোডীয় সীমান্ত। দুইদিনে নিহতের সংখ্যা ১৬ জন। বাস্তুচ্যুত ১ লাখ ৩০ হাজার। এই সংঘাত যুদ্ধে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই। সংলাপের মাধ্যমে সংকট সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে আজ জরুরি অধিবেশন বসতে যাচ্ছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
গত ১৬ ও ২৩ জুলাই, কম্বোডিয়ান ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৬ জন আহতসহ অঙ্গহানি হয় দুই থাই সেনার। গত বৃহস্পতিবার বিমান হামলা করে এ ঘটনায় জবাব দেয় থাইল্যান্ড। অভিযোগ করে, বেসামরিকদের টার্গেট করছে কম্বোডিয়ান সেনারা।
এর আগে মে মাসের সংঘর্ষে নিহত হন এক কম্বোডিয়ান সেনা। এতেই দুপক্ষের মধ্যে ছড়ায় সংঘাতের উত্তাপ। সেই আঁচেই পুড়ছে সীমান্তবর্তী জনজীবন। আত্মরক্ষায় পাল্টাপাল্টি হামলা জানিয়ে একে অন্যকে দুষছে। উত্তেজনা কমানোর কথা বললেও বাস্তবতা ভিন্ন। সীমান্তে সেনা বাড়াচ্ছে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া। সীমান্ত বন্ধ করে, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট বন্ধের হুমকি দেয় ব্যাংকক। জবাবে থাই পণ্য নিষিদ্ধ করে কম্বোডিয়া।
সহযোগিতা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জটিল থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক। তাদের মধ্যে আছে ৮১৭ কিলোমিটার সীমান্ত। সেখানে ২০১১ সালে এক মন্দির ঘিরে দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত হয়েছিল অন্তত ২০ জন।
সহিংসতায় প্রভাবিত থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক অঙ্গন। সাবেক কম্বোডীয় নেতার সঙ্গে ফোনালাপে নিজ দেশের সেনাবাহিনীর সমালোচনা করে এরইমধ্যে পদ হারিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা।
এদিকে, থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘর্ষে উদ্বিগ্ন চীন। সংলাপ করে সংঘাত নিরসনের আহ্বান জানিয়েছে বেইজিং।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর
সারাবিশ্ব এর সর্বশেষ খবর