• ঢাকা
  • ঢাকা, রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫
  • শেষ আপডেট ১ ঘন্টা পূর্বে
আরিফ হোসেন
চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ২৬ জুলাই, ২০২৫, ০৮:৩৮ রাত

নিম্নচাপের প্রভাবে ভাঙল ভোলার চরফ্যাশনের বেড়িবাঁধ, ঝুঁকিতে ২ হাজার পরিবার

ছবি: প্রতিনিধি, বিডি২৪লাইভ

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে মেঘনায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঢেউয়ের আঘাতে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার খেজুর গাছিয়ায় বেড়িবাঁধের ২৫০ মিটার ভেঙে গেছে। ফলে সেখানকার প্রায় ২ হাজার পরিবার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। এর আগে জুনের প্রথম দিকে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’র প্রভাবে বেড়িবাঁধ ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর ওই বাঁধ সংস্কারের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ৪৫ লাখ টাকার বরাদ্দ দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ (পাউবো)।

ডিপিএন টেন্ডারের মাধ্যমে উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আশরাফুল ইসলাম দিপু ফরাজি ও উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম রাসেল বাঁধ সংস্কারের কাজ পান। উপজেলা প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া দুই মাস সময়ের মধ্যে তাদের বাঁধ নির্মাণ কাজটি সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। তারা মাটি ভরাটের কাজ করলেও তা জোয়ারের ঢেউয়ের আঘাতে মিশে যায়। ফের বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে মেঘনা নদীতে অতি জোয়ারের ঢেউয়ের আঘাতে শুক্রবার বাঁধটি দ্বিতীয় দফায় ৯০ শতাংশ ভেঙে যায়। ওইদিন রাতেই উপজেলা প্রশাসনসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দুই ঠিকাদারকে দেওয়া বাঁধ নির্মাণ কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

শনিবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাঁধ ভাঙন কবলিত স্থানে জিও ব্যাগ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। ওই সময় বাঁধ নির্মাণ শ্রমিকদের বসে থাকতে দেখা গেছে। স্থানীয়রা আতঙ্কে আছেন। ভাঙন স্থানটি দেখতে ভিড় জমিয়েছেন বিভিন্ন এলাকার মানুষ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, প্রথম দফায় গত ২ জুন ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’র প্রভাবে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে এই বাঁধটি ঢেউয়ের আঘাতে ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাঁধ মেরামতের জন্য জরুরি উদ্যোগ নিলেও দেড় মাস অতিবাহিত হলেও স্থানীয় রাজনৈতিক কোন্দলে তা বন্ধ হয়ে যায়। দ্বিতীয় দফায় শনিবার সকাল থেকে বাঁধটিতে ফাটল দেখা দেয়। যদিও দুপুরের মধ্যে জোয়ারের পানির চাপে বেশিরভাগ অংশ ভেঙে গেছে। এখানকার বাসিন্দারা পুরোপুরি ঝুঁকিতে আছেন। যেকোনো মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানিতে বাড়ি-ঘর তলিয়ে যেতে পারে।

স্থানীয় বেড়িবাঁধের ভিতরের বাসিন্দা নুরে আলম মাঝি বলেন, শুক্রবার সকালে খেজুর গাছিয়া বেড়িবাঁধটি জোয়ারের পানির ঢেউয়ের আঘাতে দ্বিতীয় দফায় ভাঙা শুরু হলে স্থানীয় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। ওই এলাকায় বেড়িবাঁধের ভিতরে প্রায় দুই হাজার পরিবার ঘরবাড়ি রয়েছে। পানি ঢুকে পড়লে তাদের অবস্থা একেবারে নাজুক হয়ে পড়বে তা নিয়ে তাদের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে।

স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ী বসিরউল্লাহ ও বাসিন্দা শাহাবুদ্দিন জানান, গত ২ জুন প্রথম দফায় বেড়িবাঁধ ভাঙা দেখা দিলে উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধটি নির্মাণের জন্য ৪৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। ঠিকাদার কিছুদিন পর মাটি ও জিও ব্যাগ দিয়ে বাঁধ নির্মাণের চেষ্টা চালান। দ্বিতীয় দফায় শুক্রবার সকাল থেকে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ও উত্তাল ঢেউয়ের আঘাতে বাঁধটির ৯০ শতাংশ বিলীন হয়ে যায়। পরে ওইদিন রাতে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশক্রমে জিও ব্যাগের কাপড় দিয়ে বাঁধ ভাঙা রোধের চেষ্টা চালানো হয়। জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা না নিলে বেড়িবাঁধের বাকি ১০ শতাংশ ভেঙে ভিতরে পানি প্রবেশ করে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে স্থানীয় বাসিন্দাদের। খুব দ্রুত উপজেলা প্রশাসনসহ কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আশরাফুল ইসলাম দিপু ফরাজি ও যুবদলের সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম রাসেল বলেন, বাঁধ নির্মাণ কাজটি হাতে নেওয়ার পর থেকে কাজ চলমান রয়েছে। শুক্রবার হঠাৎ নিম্নচাপের প্রভাবে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঢেউয়ের আঘাতে বাঁধ ভেঙে যায়। রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে জিও ব্যাগের কাপড় দিয়ে ভাঙন ঠেকানো হয়। শনিবার দুপুর থেকে নির্মাণ কাজ করে যাচ্ছেন বাঁধ শ্রমিকরা।

চরফ্যাশন উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ (পাউবো)-এর নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা বলেন, গত ২ জুন খেজুর গাছিয়া বেড়িবাঁধটি মেঘনা নদীর ঢেউয়ের আঘাতে ২৫০ মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর ওই বাঁধ সংস্কারের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ৪৫ লাখ টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয় দুই ঠিকাদারকে। তারা সেখানে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করেন। তবে সাগরে নিম্নচাপের কারণে শুক্রবার ওই একই স্থানে ভাঙন শুরু হয়। বাঁধ ভাঙন কবলিত স্থানে জিও ব্যাগ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি জানান, ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি এবং দুই ঠিকাদারকে কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রার/সা.এ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬০৩২০২৪৩৪
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬০৩১৫৭৭৪৪
ইমেইলঃ [email protected]