
পাবনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক ও সাংবাদিক এস এম আদনান উদ্দিনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, প্রতারণা ও অপসাংবাদিকতার নানা অভিযোগ উঠেছে। তার প্রতিবাদে ও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ভুক্তভোগীরা। পরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
রোববার দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাবনা জেলা শাখার মুখপাত্র সিরাজুম মুনিরার নেতৃত্বে পৌরসভার সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এ সময় সাংবাদিক ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আদনান উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয় তারা। মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন ভুক্তভোগীরা।
এ সময় তারা বলেন, আদনান উদ্দিন নিজেকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি, সামাজিক অস্থিরতা তৈরি ও অপসাংবাদিকতার মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক ও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। তিনি তার মালিকানাধীন স্থানীয় দৈনিক 'পাবনার চেতনা' নামের পত্রিকা ব্যবহার করে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সংবাদ প্রকাশ করছেন, যা ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় জনগণের জন্য মানহানিকর ও হুমকিস্বরূপ হয়ে উঠেছেন।
তাই অবিলম্বে এস এম আদনান উদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে চার দফা দাবি তুলে ধরেন ভুক্তভোগী সিরাজুম মুনিরা। দাবিগুলো হলো: আদনান উদ্দিনের বিরুদ্ধে আইনগত তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণ; তার নেতৃত্বে সংগঠিত চাঁদাবাজি ও অপসাংবাদিকতার নেটওয়ার্ক চিহ্নিত করে ভেঙে দেওয়া; ভুক্তভোগী ব্যক্তি ও পরিবারকে নিরাপত্তা প্রদান এবং জনস্বার্থে দৈনিক 'পাবনার চেতনা' পত্রিকার কার্যক্রম মনিটরিং ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।
বিক্ষোভ শেষে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের অভিযোগ তুলে ধরে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্মারকলিপি দেন তারা। তা না হলে আগামীতে আরও কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন ভুক্তভোগীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাবনা জেলা শাখার মুখপাত্র সিরাজুম মুনিরা সাংবাদিকদের বলেন, "আদনান উদ্দিন ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের সময় নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আর এখন বিএনপির সঙ্গে ভিড়েছে। বিভিন্নভাবে চাঁদাবাজি করে তার পত্রিকায় বিভিন্ন মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে যাচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করে মানহানি করেছে। সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছি। আশা করি প্রশাসন তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।"
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাংবাদিক ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক এস এম আদনান উদ্দিন বলেন, "অন্যান্য সমাজকল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাহফুজ আলী কাদেরীর কাছে আমরা টাকা পাই। সেটা তিনি দিচ্ছেন না। এটা নিয়ে আমি প্রতিবাদ করায় তিনি আমার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছেন। আজকেও তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র দিয়ে আমার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করিয়েছেন। যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি কোথাও কারো কাছে চাঁদাবাজি করিনি। কেউ প্রমাণ দিতে পারবে না। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।"
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর