
নিম্নচাপের প্রভাব ও সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর কারণে গত কয়েক দিন ধরে সারা দেশের মতো চট্টগ্রামেও থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিল। তবে সোমবার সকাল থেকে অবিরাম বৃষ্টিপাতে নগরের নিচু এলাকাগুলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
সকাল ৭টার পর শুরু হওয়া অঝোর ধারার বৃষ্টি ঝরে একটানা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। এ সময় নগরের মেহেদীবাগ, জিইসি, চকবাজার, মুরাদপুর, বাদুরতলা, বড়গ্যারেজ, সিরাজদৌল্লাহ রোড, দুই নম্বর গেট, আগ্রাবাদ, দেওয়ানহাট, কাতালগঞ্জ, নয়াবাজার, রিয়াজুদ্দিন বাজার তিনপুল, জামাল খান, প্রবর্তক মোড়সহ বিভিন্ন এলাকার সড়কে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মাহমুদুল হক বলেন, ‘নিম্নচাপ কেটে গেলেও এর প্রভাবে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হওয়ায় বৃষ্টি হচ্ছে। মাঝারি থেকে ভারী আকারের এই বৃষ্টি আগামী ৪৮ ঘণ্টায় অতি ভারী বর্ষণে রূপ নিতে পারে। এ জন্য পাহাড়ধসের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় (সকাল ৬টা পর্যন্ত) চট্টগ্রামে ৭২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এই সময়ে রাঙামাটিতে সর্বোচ্চ ১২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি, ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি ধরনের ভারী, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে ভারী এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে তাকে বলা হয়ে থাকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত।
জলাবদ্ধতার কারণে সড়কে যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। কিছু সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, টেম্পো, রিকশা, ইজিবাইক চলাচল একেবারে কমে যায়।
সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আসা মুগ্ধ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ছাতা নিয়েই বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। কিন্তু গাড়ি থেকে নামতেই এত বৃষ্টি পেলাম যে পুরো কাপড় ভিজে একাকার। এই ভারী বৃষ্টি তো ছাতা মানছে না! এই ভেজা পোশাকেই পরীক্ষা দিতে হবে।’
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্ম্মা বলেন, ‘কাতালগঞ্জ, কাপাসগোলা, মুরাদপুর আর আগ্রাবাদের দিকে পানি উঠেছিল। পরে কাতালগঞ্জ ছাড়া সবখানে পানি নেমে গেছে।’
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর