
ভোলার চরফ্যাশনে টিআর, কাবিখা ও কাবিটার প্রকল্পের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি বলেছেন, 'দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও তীব্র বৃষ্টির কারণে অনেক স্থানে কিছু কাজ আংশিক সম্পন্ন হলেও পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি। সেসব কাজগুলো এখন চলমান রয়েছে। সম্প্রতি সময়ে কিছু মানুষ সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার ছড়াচ্ছে। আমি এসব মহলকে আহবান করবো যাতে তারা সরেজমিনে গিয়ে কাজগুলো দেখে আসেন। প্রকল্পের একটি টাকাও যেন অপচয় না হয় এবং সবকিছুই জনগণের স্বার্থে সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত হয় সেজন্য আমি নিরলস ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি। সঠিকভাবে কাজ বুঝে নিয়ে সিভিসিদের অর্থ ছাড় দেয়া হবে।'
বৃহস্পতিবার বিকালে চরফ্যাশন উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে এক সভায় সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন ইউএনও রাসনা শারমিন মিথি।
তিনি আরও বলেন, 'সকল সিভিসিদের (ইউপি সদস্য) পরিস্কার ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, প্রকল্পের কাজে কোন প্রকার অনিয়ম না হয়। যদি অনিয়ম হয় তার বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, চরফ্যাশন উপজেলার ২১ ইউনিয়নে গ্রামীণ জনপদের উন্নয়নের জন্য চলতি অর্থবছরে ১৫৯টি ছোট ছোট প্রকল্পের মাধ্যমে টিআরের ২ কোটি ৬৮ লাখ, কাবিখার অনুকূলে ২৫৫ মেঃটন গম এবং কাবিটা প্রকল্পের আওয়াতায় ৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। ওই বরাদ্দের কাজ মার্চ মাস থেকে কার্যক্রম শুরু হয়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জি এম. ওয়ালিউল ইসলাম বলেন, 'কাবিখা, কাবিটা ও টিআর এই তিনি প্রকল্পের সকল কাজগুলো যেনো স্বচ্ছতার সাথে হয় তাই প্রতিদিন উপজেলা প্রশাসনসহ আমি তদারকি করছি। বর্ষার কারণে অনেক স্থানে কাজ আংশিক বন্ধ রয়েছে। সেসব কাজগুলো এখন চলমান রয়েছে। কাজের কোন অনিয়মের কোন সুযোগ নেই। প্রতিটি কাজ যেনো স্বচ্ছতার সাথে হয় তাই প্রতিদিন নিয়মিত তদারকি করে যাচ্ছি।'
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর