
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করে ডজনখানেক দেশের রপ্তানি পণ্যের উপর নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়া এই শুল্কের আওতায় ১০ শতাংশ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে এখনও কোনও দ্বিপাক্ষিক বা বহুপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তিতে উপনীত হতে পারেনি, তাদের রপ্তানি পণ্যগুলোর উপর এই নতুন শুল্ক হার প্রযোজ্য হবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই সিদ্ধান্তকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
বিশেষভাবে কানাডার উপরও অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট অভিযোগ করেছেন, কানাডা যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানাইলসহ অবৈধ মাদক প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করছে না। এর ফলে কানাডার রপ্তানি পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ থেকে ৩৫ শতাংশ করা হয়েছে। তবে ইউএসএমসিএ চুক্তিভুক্ত নির্দিষ্ট কিছু পণ্য এই শুল্কের বাইরে থাকবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। ইতোমধ্যে এশিয়ার বিভিন্ন শেয়ারবাজারে পতন লক্ষ্য করা গেছে। বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই শুল্ক ব্যবস্থা বিশ্ব বাণিজ্যে নতুন উত্তেজনার সূচনা করবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অর্থনীতিতে তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “আমরা আর অন্য দেশের অন্যায্য শুল্ক ও বাধা সহ্য করবো না। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থান সুরক্ষায় এ পদক্ষেপ জরুরি।” তিনি আন্তর্জাতিক জরুরি অর্থনৈতিক ক্ষমতার আইন (IEEPA) ব্যবহার করে এই শুল্ক আরোপ করেন।
এদিকে, যেসব দেশ এখনও চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি, তাদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। অনেক দেশই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত বলে জানালেও, হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, শুল্ক কার্যকর হওয়ার পরও আলোচনা চলতে পারে তবে শর্ত সাপেক্ষে।
বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, এই সিদ্ধান্ত বৈশ্বিক বাণিজ্য সম্পর্কের ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে এবং কিছু ক্ষেত্রে পাল্টা শুল্ক বা প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপও দেখা যেতে পারে।
সর্বশেষ খবর