
আসন কমানোর প্রস্তাব বাতিল না হলে মোংলা বন্দর অচল করে দেওয়ার এবং সরকারের সঙ্গে সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে বিএনপি। আন্দোলনের মাধ্যমে বাগেরহাটের চারটি আসন ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেছেন, এটি তাদের বাঁচা-মরার লড়াই। প্রয়োজনে জীবন দেবেন, তবু রামপাল-মোংলা আলাদা হতে দেবেন না।
শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মোংলা উপজেলা শাখা এবং এর সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক বাগেরহাট-৪ সংসদীয় আসন বিলুপ্ত করা এবং মোংলা-রামপাল পৃথক করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
বক্তারা আরও বলেন, জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হলে আসন সংখ্যা কমানো নয়, বরং যথাযথ প্রতিনিধিত্ব ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই হওয়া উচিত। তিনটি আসন মানা হবে না, চারটি আসন বহাল থাকুক— এটাই মোংলা উপজেলার প্রত্যেক নাগরিকের দাবি।
তারা এ সিদ্ধান্তকে দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হিসেবে অভিহিত করে বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র, যার মাধ্যমে বাগেরহাট জেলার জনগণকে রাজনীতির মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চলছে। তারা এ ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই মেনে নেবেন না। প্রয়োজনে মোংলা বন্দরে জাহাজের যত কার্যক্রম আছে, সেগুলো বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন।
এর আগে মোংলা উপজেলা চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় মোংলা উপজেলা চত্বরের সামনে এক সমাবেশে মিলিত হন বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দাবির প্রতি দ্রুত সাড়া না দিলে রাজপথে আরও বৃহত্তর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে এবং গণআন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের ন্যায্য দাবি আদায় করা হবে। যতদিন পর্যন্ত বাগেরহাট জেলার চারটি আসন পুনর্বহাল না হবে, ততদিন এই আন্দোলন চলবে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নান হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক মো. আবু হোসেন হাওলাদার (পনি), সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাকির হোসেন, মৃধা ফারুকুল ইসলাম এবং উপজেলা বিএনপি নেতা শেখ রুস্তম আলী।
এছাড়াও উপজেলা যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিক দল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী এবং উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ উপস্থিত থেকে বিক্ষোভে সংহতি জানান।
সর্বশেষ খবর