
ফুলগুলো পাপড়ি মেলে ধরে সুবাতাস ছড়াবে, কিন্তু তার আগেই কলিগুলো নষ্ট হতে ধরছিল। কলিগুলো হলো কিশোরগঞ্জ উপজেলার ১৪১ শিশু। তারা কলি ফুটিয়ে পাপড়ি মেলে ধরে সুবাতাস ছড়াবে দেশ বিদেশে। সুনাম অর্জন করে আলোকিত করবে কিশোরগঞ্জকে। এ শিশুগুলোর কলি অবস্থায় ধরতে ধরছিল পঁচন। জড়িয়ে পড়েছিল শিশু শ্রমে। এ সকল শিশুকে শিশু শ্রম থেকে নিব্রত করে করা হয়েছে স্কুলমুখী। তারা স্কুলমূখী হওয়ায় চোখে মুখে ফুটেছে অন্তত হাসির ঝুঁলিক।
তাই এ কলিগুলোকে পাপড়িতে রুপান্তর ও আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়তে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহার পরামর্শে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ এরিয়া অফিসের উদ্যোগে অভিনব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রোববার বিকালে উপজেলা পরিষদ হলরুমে ওই শিশু, তাদের বাবা-মাকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। তাদের পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য দেয়া হয় প্রত্যেক শিশুকে ৫টি করে খাতা। এর জন্য আয়োজন করা হয় অনুপ্রেরণা মূলক সভা। সভার প্রতিপাদ্য বিষয় হল, “ছয় বছরে স্কুলে ভর্তি, এগারো বছরে প্রাথমিক সমাপনী ও সতের বছরে মাধ্যমিক উর্ত্তীণ”।
সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জাকির হোসেন ও কিশোরগঞ্জ এপি ম্যানেজার সাগর ডি কস্তা।
সভায় এ সকল শিশুকে পড়াশুনায় বেতন মওকুফ, পড়াশুনার খরচ উপজেলা প্রশাসনের তরফ থেকে দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা।#
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর