
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০২৫ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২ (সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৫) চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (০৭ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনের নবম কমিশন সভা মূলতবি ঘোষণা করে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে সকাল ১১টায় এ সভা শুরু হয়। এতে অন্য চার কমিশনার ও ইসি সচিব আখতার আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। প্রবাসীদের পোস্টাল ব্যালটে শুধু প্রতীক থাকবে, কোনো প্রার্থীর নাম থাকবে না।
প্রার্থীর নাম না রাখার কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদেশে একটি পোস্টাল ব্যালট সবচেয়ে কাছের দেশে পাঠিয়ে তা আবার দেশে আসতে সময় লাগবে ১৮ দিন। আর দূরের দেশে পাঠিয়ে তা আবার নিয়ে আসতে সময় লাগবে ২৮ দিন। এতে করে প্রার্থীর নামসহ পাঠাতে গেলে এ সময় আমরা পাব না। এর কারণে আমরা চিন্তা করেছি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতীক ও প্রতি আসনে আনুমানিক ১০ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর জন্য ১০টি প্রতীক রেখে প্রার্থীর নাম ছাড়া ব্যালট পাঠিয়ে দেব, যা তফসিল ঘোষণার আগে শুরু করা হবে।
তিনি বলেন, আমাদের তিনটি বিষয় ছিল: রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০২৫ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২ (সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৫) ও বিদেশ থেকে পোস্টাল ব্যালটে ভোটদান এবং দেশের ভেতরেও পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানের প্রক্রিয়া।
তিনি বলেন, এর মধ্যে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০২৫ রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত করা হয়েছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২ (সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৫) অনেক দূর এগিয়েছে, আগামী সপ্তাহে তা চূড়ান্ত হতে পারে।
তিনি বলেন, আচরণ বিধিমালায় এআইয়ের অপব্যবহার আমরা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছি। ডিসইনফরমেশন ছড়াতে এআইয়ের ব্যবহার বেশি করা হয়।
ড্রোন ব্যবহারের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রার্থী, পর্যবেক্ষক বা গণমাধ্যম কেউই ড্রোন ব্যবহার করতে পারবে না। কমিশনের যদি ব্যবহারের প্রয়োজন হয়, তাহলে কমিশন সেটা বিবেচনা করে দেখবে। ভোটে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের বিষয়ে গবেষণা করা হচ্ছে।
সর্বশেষ খবর