
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের চককল্যাণী এলাকায় কাটাখালী বাঁধ ভেঙে ১২ গ্রামের লাখো মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। এমন দুরবস্থায় ব্যক্তিগত অর্থায়নে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে দিলেন বগুড়ার সাবেক সংসদ সদস্য জিএম সিরাজের ছেলে, বগুড়া জেলা ও শেরপুর উপজেলা বিএনপির কার্যনির্বাহী সদস্য আসিফ সিরাজ রব্বানী। স্থানীয় নহির উদ্দিন বলেন, বাঁশের সাঁকো নির্মাণের ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা হয়েছে, পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন লাগছে। কারণ, বাঁশগুলো রঙ করানোর ফলে সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকে দেখতে আসছে এবং ছবিও তুলছে।
জানা যায়, গত ২৪ জুলাই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পানির অতিরিক্ত চাপে কাটাখালী বাঁধটি ভেঙে যায়। এতে বিলজয় সাগর, জয়লা, জালশুকা, কইগাতী, রুদ্রবাড়িয়া, আওলাকান্দি, চককল্যাণী, ভবনগাতি, জয়নগর, গুয়াগাছি, চরকল্যাণী ও বেলগাছি গ্রামের মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বাঁধ ধসের কারণে শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যাতায়াত, কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ, রোগীদের হাসপাতালে নেওয়া সব ক্ষেত্রেই চরম দুর্ভোগে পড়েন স্থানীয়রা। সংবাদটি দৈনিক ভোরের দর্পণসহ জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশের পর আসিফ সিরাজ রব্বানীর নজরে আসে। মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে তিনি স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় কয়েক দিনের মধ্যে বাঁশের সাঁকো নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করেন। এর ফলে প্রায় ১২ গ্রামের কয়েক লাখ মানুষের চলাচল স্বাভাবিক হয়।
স্থানীয় কৃষক সমশের আলী বলেন, বাঁধ ভাঙার পর কৃষিপণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এখন সাঁকো দিয়ে স্বাভাবিকভাবে পণ্য বাজারে নিতে পারছি। বিলজয় সাগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আলোর দিশারী আইডিয়াল স্কুলের শিক্ষার্থী সিজান বলেন, সাঁকো নির্মাণের ফলে সময়মতো স্কুলে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে।
আসিফ সিরাজ রব্বানীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মানুষের দুর্দশা লাঘবে নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকেই যা সম্ভব করেছি। তবে এটি স্থায়ী সমাধান নয়। ইতোমধ্যে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি, যাতে দ্রুত সরকারি উদ্যোগে একটি টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা হয়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। তারা জানিয়েছেন, শুষ্ক মৌসুমে বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর