
পটুয়াখালীতে এক সাংবাদিককে 'দেখে নেওয়ার' হুমকি দিয়েছেন জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ও শেরেবাংলা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আফরোজা সীমা। হুমকির ওই ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
ঘটনাটি গত শুক্রবার (৮ আগস্ট) পটুয়াখালী শেরেবাংলা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষে ঘটলেও ভিডিওটি রোববার (১০ আগস্ট) রাতে ছড়িয়ে পড়ে। ওই দিন বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের উপস্থিতিতে এক সালিশ বৈঠকে আফরোজা সীমা, এশিয়ান টিভির অনলাইন প্রতিনিধি ও পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সদস্য রাকিবুল ইসলাম তনুর মধ্যে বাদানুবাদ হয়।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে সাংবাদিককে উদ্দেশ করে আফরোজা সীমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও শারীরিক ক্ষতির হুমকি দিতে শোনা যায়।
এ ব্যাপারে জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ও শেরেবাংলা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আফরোজা সীমা বলেন, "আমি শেরেবাংলা বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি। স্কুলের নৈশপ্রহরীর ছেলে এই স্কুলের এক মেয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনা নিয়ে বিদ্যালয়ের মধ্যে ঘরোয়া বিচার চলছিল। ওই সময় তনু নামে এক যুবকের সঙ্গে আমার কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তিনি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান টোটনকে ফোনে ধরিয়ে দেয়। তখন তাকে জিজ্ঞেস করি তুমি কে? সে বলে আমি সাংবাদিক। তখন একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে এসব কথা বলি। আমি পুলিশে দেওয়ার কথা বললে, সে হাত-পা ধরে ক্ষমা চায়। এরপরও সে লুকিয়ে ভিডিও রেকর্ড করে এবং তা রোববার ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়।"
সাংবাদিক রাকিবুল ইসলাম তনু বলেন, "বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরীর ছেলের সঙ্গে এক ছাত্রীর দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা পালিয়ে যাওয়ার পর জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা সীমা আপা আমাদের স্কুলে ডাকেন। আমরা তাঁর কাছে গেলে খারাপ আচরণ করতে থাকেন এবং বলেন তুই কিসের সাংবাদিক। তখন আমি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদককে ফোনে ধরিয়ে দেই। তাঁর সঙ্গে কথা বলে ফোনটা রেখে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দেন। বিষয়টি আমি প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দকে জানিয়েছি।"
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাহিমা মিমি জানান, নৈশপ্রহরী শহিদুল ইসলামকে শোকজ করা হয়েছে। তাঁর জবাবের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর