
পাবনা প্রতিনিধি চলনবিল অঞ্চলের বিশাল জলরাশি যমুনা নদীতে পতিত হওয়ার একমাত্র পতন মুখ বুড়ি পোতাজিয়া নামক স্থানে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রতিবাদে ও অন্যত্র স্থানান্তরের দাবিতে চাটমোহরে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১২ ই আগস্ট মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় চাটমোহর প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে চলনবিল রক্ষা আন্দোলনের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চলনবিল রক্ষা আন্দোলনের সদস্য সচিব এস এম মিজানুর রহমান। এসময় চলনবিল রক্ষা আন্দোলন ও বড়াল রক্ষা আন্দোলন এর নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে জানানো হয় চলনবিল অঞ্চলের ছয়টি জেলা, ৪১ টি উপজেলা, ১০০০ বর্গ কিলোমিটারে মধ্যে ৪৭টি নদী ও ১৬৩ বিল, ৩০০ টিরও বেশি ক্যানেল, ১ লক্ষ ২০ হাজার পুকুর এবং বড় বড় বেশ কয়েকটি পাথার আছে। এ অঞ্চলে চলনবিলের সুবিধাভোগী মানুষের সংখ্যা পরোক্ষভাবে প্রায় এক কোটি। এছাড়া ১০৫ প্রজাতির দেশীয় মাছ, ৩৪ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৭ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, সাত প্রকারের উভচর প্রাণী, ৩৪ প্রজাতির পাখি অসংখ্য প্রকারের জলজ উদ্ভিদ জলজ প্রাণী চলনবিল অঞ্চলে বসবাস করে। যারা এই অঞ্চলে পানি প্রবাহের উপরে জীবনধারণ ও জীবিকা নির্বাহ করেন।
বুড়ি পোতাজিয়া এলাকায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ হচ্ছে নদীর প্রবাহ মুখে। এ সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু হলে প্রায় ৪০ ফিট উচ্চতায় বালি ভরাট করা হয় এই এলাকায়। ফলে চলনবিল অঞ্চল পানি প্রবাহে ব্যাপক বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে এবং উক্ত স্থানে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করলে চলনবিল অঞ্চলের এক কোটি মানুষ পরিবেশগতভাবে ব্যাপক হুমকির মধ্যে পড়বে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থানান্তর করে অন্যত্র স্থাপনের জন্য অনুরোধ জানায় চলনবিল রক্ষা আন্দোলন। আন্দোলনকারীরা বলেন আমরা চলনবিল চাই আবার রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ও চাই। সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হয় চলনবিল রক্ষায় প্রকল্পটি স্থানান্তর না করলে প্রয়োজনে বৃহৎ আন্দোলনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে চলনবিল অঞ্চলের মানুষ।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর