 
          
 
চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন থামাতে সাইফ পাওয়ারটেক থেকে টাকা চাওয়াসহ বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজিতে অভিযুক্ত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে এনসিপির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এই বহিষ্কার আদেশ দেওয়া হয়। এতে সাময়িক বহিষ্কারের পাশাপাশি কেন তাঁকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, এর লিখিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাতের সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘আপনার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় আপনাকে দলের সব প্রকার সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে এতদ্দ্বারা সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হলো। এই বহিষ্কার আদেশ আজকের তারিখ হতে কার্যকর হবে।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘আপনাকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না—তার লিখিত ব্যাখ্যা কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান আবদুল্লাহ আল-আমিনের কাছে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রদান করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।’
জানা যায়,চট্টগ্রাম বন্দরকেন্দ্রিক আন্দোলন দমাতে নিজাম উদ্দিনের পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা চাওয়ার একটি ভিডিও গত রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে নিজামকে বন্দরের আন্দোলন বন্ধে টাকা চাইতে শোনা যায়। ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর গতকাল সোমবার তাঁকে কারণ দর্শানোর চিঠি (শোকজ) দেয় দলটির চট্টগ্রাম নগর কমিটি।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া দেড় মিনিটের ওই ভিডিওতে আফতাব হোসেন রিফাত নামের একজনকে নিজাম উদ্দিনের সঙ্গে মেসেঞ্জার কলে কথা বলতে দেখা যায়, যেটি আরেকটি ফোনে ভিডিও করা হয়। শুরুতে আফতাব হোসেন (বন্দর কেন্দ্রীক বৈছাআ নেতা) বলেন, ‘যদি মীর ভাইয়েরা আন্দোলন বন্ধ না করে, তখন কী করব?’ উত্তরে নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘আন্দোলন বন্ধ করাব। তোমারে দিছে, টাকা দিছে?’ এ পাশ থেকে ‘হ্যাঁ’ জবাব দেন আফতাব।
কত লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে নিজামের এমন প্রশ্নে আফতাব বলেন, ‘পাঁচ’ অর্থাৎ পাঁচ লাখ টাকা। এরপর নিজাম উদ্দিনকে বলতে শোনা যায়, ‘আরও বেশি নিতা প্রেশার দিয়ে...তোমরা দেখো, ওর থেকে আরও পাঁচ লাখ নিতে পারো কি না, নিতে পারলে ওদেরকে আমি এনে, রোহান, মীরদেরকে এসে কিছু দিয়ে দিলাম।’
প্রসঙ্গত,এনসিপি নেতা নেজামের বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন অভিযোগ উঠে। গত ৫ আগস্টের পর সমন্বয়ক পরিচিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়েছিলেন তিনি।এরমধ্যে দুই কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে এক জামায়াত নেতাকে মব সৃষ্টি করে পুলিশে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।ওই জামায়াত নেতাকে আওয়ামী লীগ বানাতে নিজামের পরিকল্পনা ফাঁস হয় দু'দিনের মাথায়৷ ওই জামায়াত নেতার স্ত্রী সিএমপি কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে জানান, নিজাম উদ্দিন দুই কোটি টাকা না পেয়ে তার স্বামীকে মিথ্যা মামলায় জড়িত করে জেলে পাঠায়৷ সেসময় তার পদ স্থগিত করে কেন্দ্র। কিন্তুু কিছুদিন পর পদ ফিরে পেয়ে আবারও চাঁদাবাজির ছক কষেন তিনি৷
 সর্বশেষ খবর
  জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর