
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে পানি বেড়ে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
কুড়িগ্রাম পাউবো জানায়, বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৯টা হতে বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী সেতু পয়েন্টে ৫৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কয়েকদিনের অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে চরাঞ্চলের আবাদি জমিসহ দ্বীপচরগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। খাল, বিল, নালা, ডোবা, পুকুর, জলাশয়গুলো পানিতে টইটুম্বুর হয়ে গেছে। কৃষকের সদ্য লাগানো রোপা আমন ধান ও নানা রকম মৌসুমী সবজি ক্ষেত নিমজ্জিত হয়েছে।
উপজেলার সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে সদর ইউনিয়নের নলেয়া, চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ইসলামপুর, পাইকেরছড়া ইউনিয়নের পাইকেরছড়া, পাইকডাঙ্গা, আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের চর ও বীর ধাউরারকুঠি, তিলাই ইউনিয়নের দক্ষিণ তিলাই ও শিলখুড়ি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার সোনাহাট ইউনিয়নের সেতু পাড়ের বাসিন্দা রুবেল হোসেন, জহর আলীসহ অনেকে জানান, অতিবৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে দুধকুমার নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাড়ির চারদিক ভরে গেছে। এতে বন্যা আতঙ্কে পড়েছেন নদী পাড়ের মানুষ।
তিলাই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান জানান, নদী ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। ফলে দক্ষিণ তিলাই খোঁচাবাড়ি এলাকায় গুচ্ছ গ্রামটি ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মানিক উদ্দিন জানান, তাঁর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামসহ বেশ কিছু নিচু এলাকায় পানি ঢুকেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপ জন মিত্র বলেন, জরুরি ভিত্তিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির মিটিং ডাকা হয়েছে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানগণকে কন্ট্রোল রুমের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে। কিছু শুকনো খাবার কেনা আছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে ও নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর