
ঢাকার নিকুঞ্জ এলাকায় অবৈধভাগে গড়ে উঠেছে এক মৎস খামার, যেখানে ড্রেনের ময়লা ও মুরগির নাড়িভুড়ি দিয়ে মাছ চাষ হচ্ছে। মাছ চাষের স্থানটি এতটাই দুর্গন্ধযুক্ত ও দূষিত যে, সেখানে মানুষ সাধারণত দাঁড়িয়েই থাকতে পারে না।
ময়লা আর গন্ধে দূষিত পরিবেশে গড়ে উঠেনি কোনো টং দোকানও। কিন্তু এখানে চাষ করা মাছই পাইকারি বাজারের মাধ্যমে বিভিন্ন রেস্তোরাঁ ও ভোক্তাদের প্লেটে চলে যাচ্ছে!
মৎস খামারে কর্মরতদের তথ্যানুযায়ী, রেলের জায়গা দখল করে এই মৎস খামার পরিচালনা করছেন জুয়েল নামের একজন।
অবৈধভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন তিনি। তবে খামারের বিষয়ে কোনো তথ্য বা মন্তব্য করতে রাজি হননি জুয়েল।
তবে সেখানে কর্মরত একজন জানান মাছ চাষের বিষয়ে। মাছের খাবার কোথা থেকে আনা হয়, সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এগুলা মুরগির দোকান থেকে আনি। মুরগির ভুড়ি, চামড়া, আবার গলার ভিতরে খাবার গুলো থাকে, সেগুলো। এসব পাইকারি দিয়ে যায় আমাদের।
এদিকে স্থানীয়রা বলছেন, মাছের নামে ময়লা খাচ্ছে মানুষ। মাছ ময়লা খাচ্ছে, এই কারণে তো বেশি রোগ জীবানু ছড়াচ্ছে মানুষের মাঝে।
কেউ কেউ বলছেন, এখানে কিছু মাগুর মাছ চাষ হয় যা কোনোভাবেই খাওয়া উচিত না। এটা খাওয়ার একদম উপযোগী নয়। এমনকী খামারের কর্মচারীও জানালেন, তিনি নিজে এ মাঝ কখনো পাতে তুলেননি।
২০২৩ সালে মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আইন অধিশাখা থেকে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, দেশে আফ্রিকান মাগুর আমদানি, প্রজনন, চাষ, বহন, বাজারজাত ও বিক্রি সর্বপর্যায়ে নিষিদ্ধ।
তবে মৎস অধিদপ্তরের নীরবতায় এভাবেই খোদ ঢাকায় ড্রেনের ময়লা আর মুরগির নাড়ি ভুড়ি খেয়ে বেড়ে উঠা মাছই চলে যাচ্ছে আমিষভুজি মানুষের প্লেটে।
জনস্বাস্থ্য রক্ষায় নীরবতা ভেঙে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো উদ্যোগ নিবে এমনটাই প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের।
সূত্র : আরটিভি
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর
অপরাধ এর সর্বশেষ খবর