
মানিকগঞ্জ: বাল্যবিবাহ পড়াতে আইনজীবীর কক্ষ সবলেট নিয়েছিলেন এক ভুয়া কাজী। এ তথ্যের ভিত্তিতে মানিকগঞ্জ আদালতে আজ সকালে বিশেষ অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এসময় ভুয়া কাজীর নকল বালাম বই এবং বাল্যবিবাহের ভুয়া নিকাহনামা পাওয়া যায় আইনজীবীর কক্ষে। তবে এসময় ভুয়া কাজী এবং তাঁর সহকারী কাউকেই পাওয়া যায়নি। ম্যাজিস্ট্রেট চেম্বারের আইনজীবী এবং কাজী পরিচয় দেওয়া মামুন মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও অভিযুক্তরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত না হলে আইনজীবীর মুহুরী উজ্জ্বল মিয়াকে (৩২) আটক করে নিয়মিত মামলার জন্য থানায় প্রেরণ করা হয়।
আটককৃত উজ্জ্বল মিয়া সদর উপজেলার জাগীর ইউনিয়নের গারাকুল এলাকার আনোয়ার হোসেনের (আনোল) ছেলে।
মানিকগঞ্জ জেলা আদালতের দ্বিতীয় আইনজীবী ভবনের ৫২৩ নম্বর কক্ষে অভিযান চালানো হয়। আইনজীবী মাকসুদা আক্তারের নামে এই আইনজীবী ভবনের কক্ষটি বরাদ্দ। এসময় অভিযুক্ত কাজী মামুন মিয়া ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। কক্ষটির মালিক আইনজীবী মাকসুদা আক্তার আসার কথা বললেও পরে আর আসেননি।
আইনজীবী সমিতির সূত্রে জানা গেছে, কক্ষটি আইনজীবী মাকসুদা আক্তারের নামে বরাদ্দ থাকলেও তিনি সেটি মামুনের কাছে সাবলেট ভাড়া দিয়েছিলেন।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজাদ হোসেন খান বলেন, আইনজীবীর চেম্বারে ভুয়া কাজীর কার্যালয় ও বাল্যবিবাহের মতো অনৈতিক কার্যকলাপ অত্যন্ত দুঃখজনক। ঘটনাস্থলটি সিলগালা করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মানিকগঞ্জ কাজী সমিতির সভাপতি নুর আলম জাহাঙ্গীর বলেন, যারা বিয়ের মতো পবিত্র সম্পর্ককে প্রহসনে পরিণত করছে, তাদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। আইন অনুযায়ী, মানিকগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে ভুয়া কাজীর মাধ্যমে সম্পন্ন সব বিয়ের ভবিষ্যৎ কী, তা ভাববার বিষয় আছে। তিনি আরও বলেন, এসব ভুয়া কাজী ও তাদের সহযোগীদের চিহ্নিত করে স্থায়ীভাবে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের অপরাধের সাহস না পায়।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট প্রানোরাম রামকান্তি চৌধুরী বলেন, এই ঘটনায় আমরা ঘটনাস্থল থেকে আলামত উদ্ধার করে জব্দ করেছি। এসময় আইনজীবীর সহকারীকে নিয়মিত মামলা পরিচালনার জন্য থানার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর