
রৌমারীতে একই পরিবারের তিনজনকে কুপিয়ে হত্যার বিচার ও আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৪ জুলাই রৌমারী সদর ইউনিয়নের জিঞ্জিরাম নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন সীমান্তবর্তী ভন্দুরচর গ্রামে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। গতকাল শনিবার দুপুরে রৌমারী উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়। রৌমারী-ঢাকা মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন নিহতদের স্বজন ও এলাকাবাসী।
এসময় বক্তব্য রাখেন ওয়াজেদ আলী, ইকতার হোসেন, আনোয়ার হোসেন, নিহত বুলু মিয়ার স্ত্রী আসকেতারা বেওয়া, কন্যা শাপলা বেগম, ফুলবাবুর স্ত্রী ফুলোরানী বেওয়া এবং নুরুল আমিনের স্ত্রী আনজু আরা বেওয়াসহ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই ভন্দুর চরের রাজু আহমেদের গরু প্রতিবেশী শাহজামালের বীজতলার ধানের চারা খেয়ে ফেলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাহজামালের লোকজন গরু বেঁধে রাখতে বলেন। এরই জেরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রায় ২০-২৫ জনের একটি দল শাহজামালের বাড়িতে হামলা চালায়। এ ঘটনায় ২০ জুলাই আহত নুরজাহান বাদী হয়ে রৌমারী থানায় একটি অভিযোগ করেন। কিন্তু সেই অভিযোগ আমলে না নিয়ে পুলিশ বাদীপক্ষকে মীমাংসা করে নিতে বলে।
থানায় অভিযোগ দেওয়ার জের ধরে গত ২৪ জুলাই আবারও রাজু আহমেদের গ্রুপের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষ শাহজামালদের উপর হামলা চালায়। দিনদুপুরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একই পরিবারের তিন সদস্যকে হত্যা করা হয়। নিহতরা হলেন শাহজামালের দুই ভাই ফুলবাবু, বুলু মিয়া এবং ভাতিজা নুরুল আমিন। উভয় পক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হয়।
এই ঘটনায় গত ২৬ জুলাই নিহতদের স্বজন ও এলাকাবাসী রৌমারী থানা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে। পরে শাহজামাল বাদী হয়ে ২৪ জুলাই ৩৪ জন নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ১০ জনকে আসামি করে এই ঘটনায় রৌমারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ লুৎফর রহমান জানান, এ পর্যন্ত উস্কানিদাতাসহ মোট ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এছাড়াও র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর