নাটোরের সিংড়া উপজেলার চামারি ইউনিয়নের মহিষমারী গ্রামে মাদকাসক্তি নিয়ে পারিবারিক কলহের জেরে বাবা শহিদ আলীর হাতে ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩০) নিহত হয়েছেন। বাবা ধারালো অস্ত্র (হাসুয়া) দিয়ে ছেলের ঘাড়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু ঘটে। ঘটনার পর থেকে বাবা শহিদ আলী পলাতক রয়েছেন। স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘদিনের পারিবারিক অশান্তি ও মাদকের বিষাক্ত ছোবলেই এমন ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নিহত শরিফুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত ছিলেন। তাঁর মাদকাসক্তির কারণে পরিবারে দীর্ঘদিন ধরে কলহ চলছিল। মাদক কেনার টাকা চেয়ে প্রায়শই মা-বাবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন তিনি। এরই জেরে শনিবার বিকেল থেকে বাবার সাথে ছেলের তুমুল বাকবিতণ্ডা হয়। এই বাকবিতণ্ডার জের রাত পর্যন্ত চলতে থাকে। রাতে কয়েক দফায় বাবার সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে বাবা শহিদ আলী প্রচণ্ড রাগে একটি বড় হাসুয়া দিয়ে ছেলের ঘাড়ে আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই শরিফুলের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম খান জানান, মাদকাসক্ত ছেলে শরিফুল প্রায়ই টাকা-পয়সার জন্য পরিবারের লোকজনের সাথে ঝামেলা করতেন। এ নিয়ে একাধিকবার বিচার-সালিশও হয়েছে। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুজ্জামান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার পর থেকে বাবা শহিদ আলী পলাতক রয়েছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। শরিফুলের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সর্বশেষ খবর