
মানিকগঞ্জে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি'র হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন এক চাকুরীজীবী।
ইউনিয়ন যুবদল নেতা- দল ভারি করার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীকে পুনর্বাচিত করছে এ বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালেখি করার কারণে দীর্ঘদিন ধরেই ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি নজরুল ইসলামের সাথে যুবদলের সমর্থক শাকিল মিয়ার (২৮) অশালীন বাক্য বিনিময় চলে আসছিলেন। এর জের ধরেই যুবদল নেতার ফাতেমার ধরার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ শাকিল মিয়া নামের ওই যুবকের।
শুক্রবার (১৫ আগষ্ট) দুপুরে গবাদি পশুর জন্য জমিতে ঘাস কাটতে যাওয়ার সময় তাকে মারধর করেন ইউনিয়ন যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম (৫০) ও ছোট ভাই আবুল হোসেন (৪৩)।
আহত শাকিল মিয়া সদর উপজেলার হাটিপাড়া ইউনিয়নের আফজাল মিয়ার ছেলে।
শাকিল মিয়া জানান, স্বৈরাচার পতনের পর নজরুল ইসলাম ইউনিয়নে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের জন্য আওয়ামী লীগের লোকজনকে তার সান্নিধ্যে নিয়েছে। আমরা যারা দীর্ঘ সময় দলের সাথে আছি আমরা নজরুল ইসলামকে একাধিকবার বলেছি তিনি কর্ণপাত করেননি। আওয়ামী লীগের লোকজনের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করেনি। এ বিষয়ে আমি সামাজিক মাধ্যমে লেখালেখি করলে আমার সাথে তার শত্রুতা শুরু হয়। এর জের ধরেই নজরুল এবং তার ভাই আমাকে বেধরক মারধর করে। আশপাশের লোকজন আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলেও তারা বাঁধা প্রদান করে।
এই ঘটনায় মানিকগঞ্জ সদর থানায় নজরুল ইসলাম ও আবুল হোসেনকে বিবাদী করে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শাকিল মিয়া। ঘটনা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা ও দলীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দলের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এ ঘটনা অসত্য দাবি করে অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম বলেন, শাকিল এলাকার বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে টাকা নেয় এবং নেশা করে। বিভিন্ন অভিযোগে তাকে একাধিকবার সতর্ক করেছি এবং না শোধরালে থানায় দিয়ে দিব বলেছি। ওই থেকেই আমার প্রতি শাকিলের ক্ষোভ ছিল। সেদিন বরঞ্চ আমাকে মারার জন্যই ও লাঠি নিয়ে এসেছিল। আশপাশের লোকজনও দেখেছে। সে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমাকে হেও প্রতিপন্ন করার জন্যই থানায় অভিযোগ করেছে।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর