
নাটোরের সিংড়া উপজেলার ইটালি ইউনিয়নের তুলাপাড়া বাঁশবাড়িয়া গ্রামে আজমল হকের হাঁসের খামারে পরিকল্পিত হামলা চালিয়ে খোলাবাড়িয়া গ্রামের শায়বারের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত ৮০০ হাঁস লুট করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ঘটনার সময় খামারের মালিক আজমল হকসহ গ্রামবাসী স্থানীয় এলাহী বক্সের জানাজায় অংশগ্রহণে ব্যস্ত ছিলেন। এই সুযোগে শায়বারের নেতৃত্বে ৭-৮ জন ব্যক্তি খামারে প্রবেশ করে দু’জন কৃষাণকে মারধর করে আটকে রাখে এবং খামার থেকে প্রায় ৮০০ হাঁস নিয়ে যায়।
খামারের কৃষাণ বাবু বলেন, "আমি খামারেই ছিলাম। হঠাৎ কয়েকজন লোক গেট দিয়ে হাঁস বের করছে। আমি বাধা দেওয়ায় আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পানির ভেতর ডুবিয়ে রাখে।"
আরেক কৃষাণ শফি বলেন, "খামারের ভেতরে গিয়ে দেখি মারধরের চিহ্ন স্পষ্ট। আমি নিজের চোখে শায়বারকে হাঁস তাড়াতে দেখেছি। পুলিশ এলে সেও স্বীকার করে হাঁস নিয়েছে, কিন্তু ফেরত দিতে অস্বীকার করে।"
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে অভিযুক্ত শায়বার পুলিশের সামনেই হাঁস নেওয়ার কথা স্বীকার করে। তবে সে জানায়, হাঁস ফেরত দেবে না। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ এবং ভুক্তভোগী স্থান ত্যাগ করেন। পরে খামারের মালিক আজমল হক আইনের আশ্রয় নেন। তবে অভিযুক্তদের প্রকাশ্য স্বীকারোক্তি সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত লুট হওয়া হাঁসগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
আজমল হক জানান, প্রতিদিন এই ৮০০ হাঁস প্রায় ৫০০ ডিম দেয়। হাঁসগুলো উদ্ধার না হওয়ায় তিনি চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করছেন, ঘটনার পরও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, বরং তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ এবং উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযুক্ত শায়বার অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন, "আমি কারও হাঁস নিয়ে আসিনি, ওই ফার্মে আমার ছেলেরা গিয়েছিল শুধু।"
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুজ্জামান বলেন, "এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী ওই খামারি। এরপরে সাধারণত মামলা নেওয়া হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত করে এবং যদি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়, পরবর্তীতে মামলা রুজু করা হয়।"
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর