
ঢাকার ধামরাইয়ে সন্ত্রাসী হামলায় দুই যুবককে ছুরিকাঘাতে গুরুতরভাবে আহত করা হয়েছে।
বুধবার এ ঘটনার আসামিদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে দুপুরের দিকে ধামরাই উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের কাওয়ালীপাড়া এলাকায় মানববন্ধন করেন পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী। এর আগে, গতকাল আহত সিফাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে, অজ্ঞাত আরও চার-পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে ধামরাই থানায় মামলা করেন।
আহতরা হলেন সিফাত (১৯) ও সজল (১৯)। সিফাত বর্তমানে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। অপর আহত সজল ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার বিকেলে জালসা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সন্ত্রাসীরা সিফাত ও সজলের পথরোধ করে। একপর্যায়ে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে সিফাতের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে আজ দুপুরের দিকে কাওয়ালীপাড়া বাজারে এলাকাবাসীর উদ্যোগে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
সিফাতের ভাই শিহাব হাসান বলেন, "আমার ভাইকে শ্রাবণসহ ১০-১২ জন মিলে মারধর করে। একপর্যায়ে ওর বন্ধু থামাতে গেলে তাকেও মারধর করে সন্ত্রাসীরা। কিল-ঘুষি মারার পর তারা আমার ভাই ও তার বন্ধুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এতে আমার ভাইয়ের ফুসফুসে আঘাত লাগে। বর্তমানে সে এনাম মেডিকেল কলেজে লাইফ সাপোর্টে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। আমরা ধামরাই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।"
এ ব্যাপারে সিফাতের মা শিরিন আক্তার বলেন, "আমার ছোট ছেলে এখন লাইফ সাপোর্টে, তাকে যারা আহত করেছে তাদের বিচার চাই। আমার ছেলে আমার ডাকে সাড়া দেয় না," বলেই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, "এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।"
সর্বশেষ খবর