কুমিল্লার পদুয়ার বাজার ইউটার্নে সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত হানিফ পরিবহনের বাসটিকে আটক করেছে ময়নামতি হাইওয়ে পুলিশ। গত ২২ আগস্ট শুক্রবার এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল। রবিবার (২৪ আগস্ট) কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার খাদঘর এলাকার মানামা হোটেলের সামনে থেকে বাসটি আটক করা হয়। ময়নামতি হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইকবাল বাহার মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, গত ২২ আগস্ট শুক্রবার কুমিল্লা পদুয়ার বাজার হোটেল নূরজাহান থেকে বেরিয়ে হানিফ পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব-১২-২১৯৭) নম্বরের বাসটি উল্টোপথে ইউটার্নের দিকে এগিয়ে যায়। সেসময় বিপরীত দিক থেকে একটি সিমেন্টবোঝাই লরি আসছিল। ইউটার্নে অপেক্ষমাণ প্রাইভেটকারটি একটু সরতেই বাসটি সামনে চলে আসে। এতে লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গিয়ে প্রাইভেটকার ও সিএনজি চালিত অটোরিকশাকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়। হানিফ পরিবহনের বাসটি উল্টোপথে আসার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ।
এ ঘটনায় সদর দক্ষিণ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর ময়নামতি হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইকবাল বাহার মজুমদারের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে রবিবার দেবিদ্বার উপজেলার খাদঘর এলাকার মানামা হোটেলের সামনে থেকে বাসটি আটক করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা বিল্লাল হোসেন বলেন, পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকার 'ইউটার্নে' প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে পার্শ্ববর্তী হোটেল নূরজাহানে খাবার খেয়ে বিভিন্ন পরিবহনের চালকরা উল্টোপথে এসে ইউটার্ন অতিক্রম করেন, যার ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার দুপুরে হানিফ পরিবহনের একটি বাস উল্টোপথে এসে ইউটার্ন অতিক্রম করছিল।
এসময় ঢাকামুখী সিমেন্টবাহী লরিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ইউটার্নে অপেক্ষমাণ একটি প্রাইভেটকার এবং একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে প্রাইভেটকারে থাকা চারজন ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং অটোরিকশার তিন যাত্রী আহত হন।
ময়নামতি হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা পাশেই অবস্থিত হোটেল নূরজাহানের সামনে থেকে উল্টোপথে আসা হানিফ পরিবহনের বাসটি দেখে লরির চালক গতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। কিন্তু ততক্ষণে লরির 'বডি' উল্টে প্রাইভেটকারের ওপর পড়লে গাড়িটি একেবারে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। আর লরির মাথাটি চাপা দেয় একটি সিএনজিকে। তিনি জানান, তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে সিএনজির ভেতর থেকে তিনজনকে উদ্ধার করেন এবং যন্ত্রাংশ দিয়ে গাড়ির বিভিন্ন অংশ কেটে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় সদর দক্ষিণ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। রবিবার দেবিদ্বার থেকে ঘাতক হানিফ পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব-১২-২১৯৭) নম্বরের বাসটি আটক করা হয়েছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর