
নেত্রকোনা সদরে ৭ বছর বয়সি এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় এরশাদ আলীকে (৬৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানাধীন ভারত সীমান্তবর্তী তারাপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশের একটি দল।
গ্রেপ্তার এরশাদ আলী সদর উপজেলার চল্লিশা ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা। রোববার বিকেলে নেত্রকোনা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহ নেওয়াজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এরআগে গত শুক্রবার রাতে শিশুটির মা বাদী হয়ে নেত্রকোনা মডেল থানায় এরশাদ মিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী শিশুটি সদর উপজেলার চল্লিশা বাজার এলাকার একটি কওমী মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে খেলতে খেলতে প্রতিবেশী এরশাদ আলীর সামনে যায়। তাকে সোনার আংটি ও একশত টাকার প্রলোভন দেখিয়ে নিজের ঘরে নিয়ে যায় এরশাদ আলী। সেখানে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। পরে কান্নাজড়িত কণ্ঠে শিশুটি মায়ের কাছে ঘটনা খুলে বলে। শিশুটির কাপড় রক্তে ভেজা দেখে শিশুর মা বিষয়টি প্রতিবেশীদের জানিয়ে মেয়েকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে শিশুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি কাজী শাহ নেওয়াজ বলেন, মামলার পরপরই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার সীমান্তবর্তী তারাপুর এলাকায় এরশাদ আলীর অবস্থান শনাক্ত করা হয়। অবশেষে আজ ভোরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে নেত্রকোনায় নিয়ে আসছে পুলিশ। আগামীকাল সোমবার সকালে এরশাদ আলীকে আদালতে পাঠানো হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর